ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ই-গেইট সেবা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম প্রবর্তন করা হয়েছে।
Published : 04 Mar 2023, 08:43 PM
ই-পাসপোর্ট ও ই-গেইটের মাধ্যমে ডিজিটালাইজড ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার বিকাল ৪টার দিকে বেনাপোল স্থলবন্দরে ই-গেইট উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উদ্বোধন শেষে বিকাল ৫টায় বেনাপোল ফুটবল মাঠে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যাত্রী সেবায় মানোন্নয়ন এবং দ্রুত ও নিরাপদ ইমিগ্রেশনের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রতিটি সদস্য প্রধানমন্ত্রীর এই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া আমাদের লক্ষ্য।”
বেনাপোলের শূন্যরেখায় ভারত ও বাংলাদেশের বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যকার রিট্রিট সেরিমনি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. নাসির উদ্দিন, যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য শাহিন চাকলাদার, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আমিনুল ইসলাম খান, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার।
মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার জানান, ২০২২ সালের ৭ জুন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহির্গমনে ১৩টি ও আগমনীতে ১৩টি ই-গেইট, ১৮ নভেম্বর শাহ আমনত বিমানবন্দরে বহির্গমনে তিনটি ও আগমনীতে তিনটি ই-গেইট এবং এ বছর ৮ জানুয়ারি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহির্গমনে তিনটি ও আগমনীতে তিনটি ই-গেইট সম্পূর্ণ সচল করে আধুনিক ইমিগ্রেশন সুবিধা শুরু হয়েছে।
“এ পর্যন্ত এক লাখ ১৫ হাজারের অধিক যাত্রী এই সেবা গ্রহণ করেছেন। এই ই-গেইট সেবা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম প্রবর্তন করা হয়েছে।”
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ই-গেইট রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী মির্জা নুরুল আমিন বলেন, “প্রথম পর্যায়ে চারটি গেইট করা হয়েছে। ভারতে প্রবেশের জন্য দুটি ও ভারত থেকে আসা যাত্রীদের জন্য দুটি। উদ্বোধনের পরপরই যাত্রীদের জন্য পুরোপুরি ই-গেইট চালু করা হয়েছে।”
ই-গেইটের মাধ্যমে কিছু যাত্রীর সফলভাবে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যবেক্ষণ করেন।