“ইউরেশিয়ান ওয়াইল্ড জগতের প্রাণী এই হগ ব্যাজার। হগ ব্যাজারকে শূকর বলা হলেও এটি আসলে শূকর প্রজাতির নয়।”
Published : 04 May 2024, 08:15 PM
শেরপুরে সংকটাপন্ন ‘হগ ব্যাজার’ উদ্ধার পর প্রাণীটিকে গারো পাহাড়ের বনভূমিতে অবমুক্ত করেছে জেলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ।
শনিবার বিকালে ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের এলাকার রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বনে অবমুক্ত করা হয় বলে শেরপুর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জার মনজুরুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, দুপুরে শেরপুর পৌর শহরের দিঘার পাড় মহল্লায় লাল মিয়ার তার জমিতে হগ ব্যাজার দেখতে পায়। প্রাণীটি দেখে লাল মিয়া আশপাশের লোকজনকে ডাক দেয়। পরে তারা প্রাণীটি বেঁধে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের খবর দেয়।
রেঞ্জার মনজুরুল বলেন, “হগ ব্যাজারে মুখ মূলত বেশ লম্বা, মুখের সম্মুখভাগ গোলাকার। গায়ের রং ধূসর ও বাদামি। মুখের তুলনায় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কালো। সামনের দুপায়ের আঙ্গুলে বেশ লম্বা নখ রয়েছে যা অনেকটা শুকরের মত। এ প্রাণীটি দৈর্ঘ্যে ৬৩ সেন্টিমিটার এবং লেজ ১৫ সেন্টিমিটার।
“মাটি খুঁড়ে গর্ত করে এই প্রাণীটি বসবাস করে। দিনের বেলায় সাধারণত এরা গর্তে ঘুমিয়ে কাটায়। রাতে খাদ্যের সন্ধানে বের হয়। এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে গাছের মূল-শিকর, কাণ্ড, কীটপতঙ্গ এবং ছোট প্রাণী। শেরপুরসহ সিলেট ও পার্বত্য চট্টগামে কালেভদ্রে এদের দেখা মেলে।”
এটির বৈজ্ঞানিক নাম (arctonyx collaris)। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ বা আইইউসিএনের লাল তালিকায় হগ ব্যাজারকে রাখা হয়েছে ‘সংকটাপন্ন’ ক্যাটাগরিতে। এর মানে হল, এই প্রাণীর প্রজাতি প্রকৃতিতে বিপন্ন হয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি মনিরুল খান বলেন, “ইউরেশিয়ান ওয়াইল্ড জগতের প্রাণী এই হগ ব্যাজার। হগ ব্যাজারকে শূকর বলা হলেও এটি আসলে শূকর প্রজাতির নয়।”