পর্যায়ক্রমে ইউরেনিয়ামের আরও চারটি চালান দেশে আসবে বলে জানান প্রকল্পের পরিচালক।
Published : 13 Oct 2023, 06:36 PM
বিশেষ নিরাপত্তায় ঢাকা থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান পাবনার রূপপুরে পৌঁছেছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের মধ্যে প্রবেশ করে বলে পাবনার (ঈশ্বরদী-সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান।
তিনি বলেন, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে। এ জন্য ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে রূপপুর মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিল। গাড়িগুলো প্রকল্প এলাকায় পৌঁছালে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক শৌকত আকবর জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাশিয়া থেকে একটি চার্টার্ড বিমান তেজস্ক্রিয় জ্বালানির তৃতীয় চালান নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
প্রথম ও দ্বিতীয় চালানের মতোই সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আমদানি করা এ পারমাণবিক জ্বালানি সড়ক পথে রূপপুরে নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
পর্যায়ক্রমে আরও চারটি চালান দেশে আসবে; সবকটি চালানের জ্বালানি দিয়ে এক বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বলে জানান এ প্রকল্প পরিচালক।
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জ্বালানির প্রথম চালান দেশে এসে পৌঁছায়; পরদিন বিশেষ নিরাপত্তায় জ্বালানি প্রকল্প এলাকায় নেওয়া হয়। দ্বিতীয় চালান আসে ৫ অক্টোবর; যা পরদিন রূপপুরে পৌঁছায়।
এর আগে ৫ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জ্বালানি হস্তান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩তম দেশ হিসেবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ ক্লাবে প্রবেশ করে।
রাশিয়ার সহযোগিতায় রূপপুরে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হচ্ছে; এই ব্যয়ের ৯০ শতাংশই রাশিয়ার ঋণ হিসেবে পাচ্ছে বাংলাদেশ।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে; যা ২০২৫ সালে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-