রাঙামাটি শহরে ছুরিকাঘাতে রাব্বি নামের যুবক নিহতের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের বনরূপা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানায় জেলা পুলিশ।
এর আগে শনিবার সকালে ছুরিকাঘাতে নিহত হন শহরের কাটাপাহাড় এলাকায় মোজাম্মেলন হকের ছেলে ইজাবুল হক রাব্বি (২৮)।
রাব্বীর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে বিকাল ৩টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
এতে বলা হয়, রাব্বি হত্যার ঘটনায় সেলিম মাহমুদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার বাসিন্দা সেলিম রাঙামাটি শহরের একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করেন।
রাঙামাটির এসপি মীর তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে আমরা খুনিকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। ঘটনার সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।”
আটক সেলিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এসপি জানান, নিহত যুবকের সঙ্গে সেলিমের বন্ধুত্ব ছিল। সেলিম তার কাছে টাকা পেতেন।
শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে বনরূপা ফরেস্ট রোড কবরস্থানের সামনে রাব্বী এবং সেলিমের মধ্যে টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেলিমকে মারধর করেন রাব্বি। এরপর সেলিম তার বাসায় চলে যান।
শনিবার ভোরে রাব্বি ফোন কলে সেলিমকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তাদের মধ্যে পুনরায় কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেলিম ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই রাব্বি মারা যান।
এ সময় মো. আমির হোসেন নামের এক নৈশপ্রহরী সেখানে ছিলেন। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন সেলিম।
আহত আমির হোসেন বর্তমানে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এসপি বলেন, “এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে টাকা ছাড়া মাদক কিংবা অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখব আমরা।”
সংবাদ সম্মেলনে এএসপি মারুফ হাসান, ওসি আরিফুল আমিনসহ পুলিশের কর্মকর্তারা ছিলেন।