২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে নিজ ঘরের সিঁড়ির পাশে ওই চিকিৎসকের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায় বলে জানান পিপি।
Published : 12 Feb 2024, 07:40 PM
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় এক চিকিৎসককে হত্যা মামলায় দুই কিশোরকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান ওই দুই কিশোরের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) সাইয়েদুল ইসলাম বাবু।
আটকাদেশ পাওয়া ১৪ বছর বয়সি এক কিশোর উপজেলার বানিয়াচো গ্রামের বাসিন্দা এবং অপরজন একই এলাকার ১৭ বছর বয়সি।
নিহত আনোয়ার উল্লাহ (৮৫) উপজেলার বানিয়াচো গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ছিলেন।
মামলার বরাতে পিপি সাইয়েদুল বলেন, “চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর আনোয়ার নিজ বাড়িতে চেম্বার খুলে চিকিৎসা দিতেন। ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতের খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি ঘরে একাই থাকতেন।
“তার পাশের ঘরে ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি-নাতনিরা থাকতেন। রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে গলাকেটে হত্যা করে ওই ঘরের সিঁড়ির পাশে রেখে চলে যায়। পরদিন সকালে স্থানীয় চা দোকানি তোয়াব আলী মরদেহ দেখে স্বজনদের জানান।”
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোশারফ হোসেন শাহারাস্তি থানায় অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে মামলা করেন। পরে সন্দেহভাজন ওই দুই কিশোরকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
তদন্ত শেষে একই বছর ৯ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহারাস্তি থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূর হোসেন মামুন ওই দুই কিশোরকে আসামি করে আদালতে আলাদা দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলে জানান পিপি সাইয়েদুল।
১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ওই দুই কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়ে বিচারক সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন শহীদুল্লাহ পাটোয়ারী।