বৃহস্পতিবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সেমিনারে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।
Published : 13 Feb 2025, 10:19 PM
সরকার ও শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চুক্তি বাধ্য হয়েই করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জেএসএস সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
তিনি বলেছেন, “১৭৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল পাহাড়ের বুকে যে নির্যাতন-নিপীড়ন, শোষণ-বঞ্চনা চলছে তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। পার্বত্য অঞ্চলে যারা স্থানীয় অধিবাসী তিনি হোক পাহাড়ি, হোক বাঙালি।
“যে কোনো জাতি হোক না কেন, তার আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মৌলিক অধিকারসহ অন্যান্য সব অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু এই চুক্তি তো আর বাস্তবায়িত হল না, হতে পারল না।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আয়োজিত ‘বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।
সন্তু লারমা বলেন, “২৭ বছর অতিবাহিত হয়েছে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে অনেক কিছু পরিবর্তন আমরা দেখতে পাই। কিন্তু সে পরিবর্তনের সঙ্গে পাহাড়ের কোনো পরিবর্তন আসেনি। যে কারণে আজকে এখনো পর্যন্ত এই পার্বত্য চুক্তি অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়ে গেছে। এই পার্বত্য চুক্তি এভাবে থাকলে হারিয়ে যাবে।”
সেমিনারে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন চাকমা সার্কেল চিফ (চাকমা রাজা) দেবাশীষ রায়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কে এস মং মারমা, উন্নয়নকর্মী ও গবেষক তনয় দেওয়ান, সুজন রাঙামাটি পৌর শাখার সম্পাদক এরফানুল হক রোমেল, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপন ত্রিপুরা, রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সৈকত রঞ্জন চৌধুরী।
দেবাশীষ রায় বলেন, “আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার চাওয়া মানে বিচ্ছিন্নতাবাদী নয়। এর মানে সব মানুষ যাতে নিজ পরিচয়ে পরিচিত হতে পারেন।”
এ সময় সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে যুবসমাজকে আরও সক্রিয় হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।