ওই যুবককে নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ নিহতের ভাইয়ের।
Published : 12 Apr 2025, 05:09 PM
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা সীমান্তের ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশ থেকে ভাসমান এক যুবকের লাশ নিয়ে গেছে দেশটির পুলিশ।
লাশটি বাংলাদেশি যুবকের বলে দাবি করা হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, পলিয়ানপুর সীমান্তে বিএসএফ সদস্যরা ওয়াসিম নামের ওই যুবককে ধাওয়া দিয়ে ধরার পর পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয়।
নিহত ওয়াসিম মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের বুনোপাড়ার রমজান আলীর ছেলে।
তবে লাশটির বিষয়টি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি বিজিবি ও পুলিশ।
শুক্রবার ওই যুবকের লাশ নদীতে ভেসে উঠেতে দেখেন স্থানীয় এক কৃষক।
ওয়াসিমের সঙ্গীদের বরাত দিয়ে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য ওবাইদুল ইসলাম বলেন, গত ৬ এপ্রিল ওয়াসিমসহ আরো চারজন অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে যান।
ফেরার সময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাদের ধাওয়া করলে অন্যরা পালিয়ে এলেও ধরা পড়েন ওয়াসিম।
ওয়াসিমের বড়ভাই মেহেদী হাসান দাবি করেন, তার ভাই ৩-৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। গত ৬ এপ্রিল ওয়াসিম ভারতের অভ্যন্তরে ধরা পড়েন বলে শুনেছেন তিনি।
তার ভাইকে নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মেহেদীর।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের বিষয়ে বিএসএফকে জানায়। তবে বিএসএফ লাশ উদ্ধারে গড়িমসি করে।
পরে বিজিবির চাপে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভারতীয় পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বলে জানান মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা।
ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী শুক্রবার রাতে বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছেন, লাশটি তার ছেলে ওয়াসিমের।
তিনি দ্রুত লাশটি পাওয়ার জন্য শনিবার সকালে বাঘাডাঙ্গা ৫৮ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডারের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন বলে দাবি করেন।
মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, “আমি শুনেছি, পলিয়ানপুর সীমান্তে ইছমতি নদীর ভারতীয় অংশে এক যুবকের লাশ ভাসছিল। শুক্রবার রাতে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।”
এ ব্যাপারে খালিশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, “লাশটি বাংলাদেশির না ভারতীয় নাগরিকের তা এখনো আমরা জানতে পারিনি।”