তবে বিভিন্ন কারণে ১৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
Published : 07 Sep 2024, 04:59 PM
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা এবং শ্রমিকনেতা ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর আশুলিয়ায় বন্ধ থাকা তৈরি পোশাক কারখানাগুলো খুলেছে।
তবে বিভিন্ন কারণে ১৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, শনিবার আশুলিয়ায় অধিকাংশ কারখানায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু হয়েছে।
সকাল থেকেই আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকদের তাদের কর্মস্থলে যোগ দিতে দেখা গেছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
এ ছাড়া শিল্পাঞ্চলে সেনা টহলও রয়েছে।
ব্যাপক শ্রমিক বিক্ষোভ ও ভাঙচুর-হামলার জেরে বৃহস্পতিবার থেকে আশুলিয়ায় বেশকিছু কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ।
শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে শুক্রবার বিজিএমইএর কার্যালয়ে দুই দফায় শিল্পমালিক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিকনেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হয়।
বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, শ্রমিকনেতা মণ্টু ঘোষ, নাজমা আক্তারসহ অনেকে।
বৈঠকে সব পক্ষই কারখানা সচল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। তারা বলেছেন, শিল্প বন্ধ থাকলে, উৎপাদন না হলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যবসাও অন্যত্র চলে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। যা কারও জন্য ভালো নয়।
সভায় বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝুট ব্যবসা থেকে বিরত থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও যেসব কারখানায় বেতন ভাতা বকেয়া আছে তারা শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কড়া নিরাপত্তা দেবে।
তবে শনিবারও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নরসিংহপুর এলাকায় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করে বেরিয়ে যায়। যদিও কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আশুলিয়ায় হামীম গ্রুপের কার্যক্রম চলমান থাকলেও বন্ধ রয়েছে নিউ এইজ। নাসা গ্রুপের শ্রমিকরা কারখানায় এলেও কার্ড পাঞ্চ করে বেরিয়ে গেছেন। অনন্ত ও আল মুসলিম গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা কারখানার ভিতরে প্রবেশ করলেও কর্মবিরতি পালন করছে।
তবে এখন পর্যন্ত ঠিক কতগুলো কারখানা বন্ধ রয়েছে বা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান বলেন, “শিল্পাঞ্চলের যেসব জায়গায় গণ্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেসব জায়গায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও আমাদের শিল্প পুলিশের সদস্যরা মোতায়েন আছে।”
গার্মেন্টস খাতকে অস্থিতিশীল করতে যারা উস্কানি দিচ্ছে তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পুরানো খবর
কারখানায় হামলা-ভাঙচুর: আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ১৪
শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল আশুলিয়ায় ৮০ কারখানায় ছুটি
আশুলিয়ার পোশাক কারখানা চালু, বিশৃঙ্খলার অভিযোগে আটক ২