“রাজশাহী যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু ট্রেন না চলায় ফিরে যাচ্ছি।
Published : 28 Jan 2025, 06:11 PM
রেল কর্তৃপক্ষের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। সারাদেশের মত খুলনা রেলওয়ের স্টেশন থেকেও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেন বলেন, “প্রতিদিন ভোর থেকেই ঢাকা, রাজশাহী, বেনাপোল, নীলফামারীর উদ্দেশে খুলনা থেকে ট্রেন ছেড়ে যায়।
“রানিং স্টাফদের ধর্মঘটের কারণে সোমবার রাত ১২টার পর থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি।”
স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট পাঁচটি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ইঞ্জিনহীন বগি পড়ে আছে স্টেশনে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও অন্যান্য লাইনে যাত্রীবাহী ও মালবাহী মোট পাঁচটি ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। তবে কোনো ট্রেনের সঙ্গে ইঞ্জিন নেই। স্টেশনে কর্মরত রানিং স্টাফ টিটিই, গার্ড ও ট্রেন চালক কারও দেখা মেলেনি।
স্টেশনের মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে, অনিবার্য কারণবশত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। যেসব যাত্রী ট্রেনের টিকিট অগ্রীম কেটেছেন তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
স্টেশন মাস্টার জাকির বলেন, “যারা আগে থেকে টিকিট বুকিং দিয়েছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।”
কবে এ সমস্যার সমাধান হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি।
মঙ্গলবার সকালে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় অনেক যাত্রীকে বসে থাকতে দেখা গেছে। তাদের অনেকেই ট্রেন চলাচল বন্ধের খবর জানতেন না।
হঠাৎ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় এবং এ বিষয়ে রেলওয়ে থেকে যাত্রীদের আগাম কোনো বার্তা না দেওয়ায় স্টেশনে এসে ফিরে যাওয়াসহ নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য শত শত যাত্রী স্টেশনে এসে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই ফিরেছেন বিকল্প পথে।
কয়েকজন যাত্রী জানান, সকালে রেলস্টেশনে এসে তারা জানতে পারেন ট্রেন চলবে না। টিকেট কাউন্টার থেকে টিকেটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে তারা নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে পারছেন না।
টাকা ফেরত নেওয়ার পর সিরাজুল আলম নামে এক যাত্রী বলেন, “পরিবারের তিন সদস্যকে নিয়ে রাজশাহী যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু ট্রেন না চলায় ফিরে যাচ্ছি। এখন বিকল্প পথে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে বাসে করে যাব বলে চিন্তা করছি।”