নওগাঁর মান্দায় বাস ও অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষ-ভাঙচুর

মান্দার ফেরিঘাট এলাকার সড়কে আড়াআড়িভাবে বাস রেখে যান চলাচল বন্ধ করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান বাসশ্রমিকরা।

নওগাঁর মান্দায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ সময় দুটি বাস ও অন্তত ১৫টি অটোরিকশা ভাঙচুরের দাবি করে দুপক্ষ।

শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে উপজেলার সাবাইহাট ও ফেরিঘাট এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

এ ঘটনার পর থেকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে বাস ও তিন চাকার যান চলাচল প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন এই সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীরা। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যান চলাচল শুরু হয়।

এদিকে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ফেরিঘাট এলাকায় বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান মান্দা থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী।

নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিউজ্জামান মতি বলেন, “সরকারি আইন অনুযায়ী মহাসড়কে তিন-চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ। প্রশাসন ও মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও অটোরিকশা চালকেরা নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে জোর করে গাড়ি চালাচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন, “এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।”

শুক্রবার দুপুরে সাবাইহাট এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা চালক ও মালিকেরা দলবেঁধে দুটি বাসে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ মতির।

এ সময় যান দুটির চালক ও তাদের সহকারীকেও মারধর করা হয়।

পরে মান্দার ফেরিঘাট এলাকার সড়কে আড়াআড়িভাবে বাস রেখে যান চলাচল বন্ধ করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান বাসশ্রমিকরা।

এ বিষয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক শ্রমিক সমিতি সাবাইহাট শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, “নওগাঁ বাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন সড়কের মোহাম্মদপুর সাইনবোর্ড এলাকায় অবৈধভাবে নতুন চেকপোস্ট বসিয়ে অটোরিকশা চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছিলেন।

“এ নিয়ে অটোরিকশার মালিক ও শ্রমিকেরা প্রতিবাদ জানালে গত ২৯ অগাস্ট মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন তাদের মারধর করেন।”

শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “আজকে জুমার নামাজের পর ফেরিঘাট থেকে রাজশাহীতে যাওয়ার সময় নতুন চেকপোস্টে একটি অটোরিকশার থামিয়ে এর চালককে মারধর করে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। পরে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় বাসশ্রমিকেরা আবারও অটোরিকশা মালিক ও চালকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ১৫-১৬টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।”

হামলায় অন্তত ১৫ জন অটোরিকশা শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে দাবি তার।

এ ব্যাপারে মান্দা থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ওই সড়কে স্বাভাবিক যান চলাচল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় বাস মালিক, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি মোজাম্মেল হক।

[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]