জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সৈকতে ১০৩টি মৃত কচ্ছপ ভেসে আসে বলে জানায় সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট।
Published : 26 Feb 2024, 05:29 PM
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ‘মা কচ্ছপের’ মৃত্যুর মিছিলে পর এবার পাঁচটি অলিভ রিডলি প্রজাতির কাছিমের ৫৬৬টি ডিম দেওয়ার সুখবর মিলেছে।
রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত সৈকতের বিভিন্ন এলাকার বালিয়াড়িতে কচ্ছপগুলো ডিম দিয়েছে বলে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান।
এর মধ্যে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া সৈকতের রেজুখালের বালিয়াড়িতে অলিভ রিডলির একটি মা কাছিম ১০১টি ডিম দিয়ে সুস্থ অবস্থায় সমুদ্রে ফিরে গেছে বলে জানান তিনি।
তরিকুল ইসলাম বলেন, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর সৈকতে দুটি কাছিম ২৪০টি, মাথাভাঙ্গা সৈকতে একটি কাছিম ১১৫টি এবং উত্তর শীলখালী একটি কাছিম ১১০টি ডিম দিয়েছে। এসব কচ্ছপ ডিম দেওয়ার পর সুস্থ সবল অবস্থায় সাগরে ফিরে গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পাওয়া ৫৬৬টি ডিম উখিয়া উপজেলার সোনারপাড় সৈকতে বোরির তত্ত্বাবধানে বেসরকারি সংস্থা কোডেক পরিচালিত হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, সাগরে বসবাসরত মা কচ্ছপের এখন ভর প্রজনন মৌসুম। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত মা কচ্ছপ উপকূলে এসে ডিম দেন। কোডেক-ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ প্রজেক্টের অধীনে এসব ডিম সংগ্রহ, বাচ্চা ফুটানো এবং সাগরে ছেড়ে দেওয়ার কাজ করেন।
গেল এক মাসে সৈকতের বালিয়াড়িতে শতাধিক মা কচ্ছপ ডিম পাড়তে এসে মারা গেছে; এই পরিস্থিতিতে একদিনে পাঁচটি মা কচ্ছপ ৫৬৬টি ডিম পাড়া অনেকটা সুখকর বলে মন্তব্য করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল।
বোরির তথ্য মতে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১০৩টি মৃত মা কচ্ছপ ভেসে আসে; যার মধ্যে ১১দিনে পাওয়া গেছে ৫৯টি।
মৃত অবস্থায় উদ্ধার এসব মা কচ্ছপ থেকে সাত শতাধিক ডিম সংগ্রহ করা গেছে জানিয়ে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল বলেন, প্রতিটি কচ্ছপই জালের সুতোয় প্যাঁচানো এবং আঘাতপ্রাপ্ত।
উপকূলে ডিম দিতে আসার সময় সাগরে জেলেদের পেতে রাখা জাল ও রশিতে প্যাঁচিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এসব কচ্ছপের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি এ কর্মকর্তার।
আরও পড়ুন: