কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ২৪ মৃত কচ্ছপ

“গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭৬টি অলিভ রিডলি মা কচ্ছপ থেকে ৯ হাজার ১০৭টি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে।”

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2024, 02:11 PM
Updated : 23 Feb 2024, 02:11 PM

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একদিনেই ২৪টি মৃত মা কচ্ছপ ভেসে এসেছে। 

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের উখিয়া উপজেলার সোনার পাড়া থেকে টেকনাফ সৈকত এবং মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া উপকূলে কচ্ছপগুলো ভেসে আসে।

এসব কচ্ছপের পেটে ডিম পাওয়া গেছে বলে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান। 

এর আগে বুধবার ও বৃহস্পতিবার একই সমুদ্র উপকূলে ১৫টি মৃত মা কচ্ছপ ভেসে আসে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ৮৩টি সামুদ্রিক মৃত মা কচ্ছপ ভেসে আসার তথ্য জানিয়েছে বোরির বিজ্ঞানীরা।

মৃত অবস্থায় ভেসে আসা সব কচ্ছপই অলিভ রিডলি বা জলপাইরঙা জানিয়ে তরিকুল বলেন, “নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রজনন মৌসুমে গভীর সাগর পারি দিয়ে এরা ডিম পাড়তে আসে। প্রজনন ক্ষেত্রে আসার পথে জালে আটকা পড়ে বা অন্য কোনভাবে আঘাত পেয়ে তারা মারা পড়ছে।

“উদ্ধার করা অধিকাংশ কচ্ছপের শরীরে জাল ও রশি প্যাঁচানো ছিল।” 

“এভাবে মৃত কচ্ছপ ভেসে আসা উদ্বেগের ও হতাশার। বিষয়টি জানতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দুই-একদিনের মধ্যে গভীর সাগরে ঘুরেও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর কচ্ছপগুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান সহজ হবে।” বলেন এই বিজ্ঞানী। 

তরিকুল বলছেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭৬টি অলিভ রিডলি মা কচ্ছপ থেকে ৯ হাজার ১০৭টি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ডিম সৈকতের প্রাকৃতিক হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এক সপ্তাহ ধরে নতুন করে কোনো কচ্ছপ ডিম দেয়নি।

ভেসে আসা সামুদ্রিক প্রাণীর মৃতদেহের নমুনা সংগ্রহ করে তার মৃত্যুর কারণ কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে বলে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ জানিয়েছেন। এসব প্রাণীর বিচরণ ও বাসস্থানে কোনো বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে কি-না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারওয়ার আলম বলেন, “বোরির বিজ্ঞানী ও স্থানীয়ের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, জালে আটকা পড়ে অধিকাংশ কচ্ছপ মারা পড়ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হচ্ছে।”