এ বছরের জানুয়ারি থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে ৯৬টি মৃত মা কচ্ছপ।
Published : 25 Feb 2024, 03:17 PM
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে চারটি মৃত ‘মা কচ্ছপ’ সঙ্গে একটি ইরাবতী ডলফিন এবং রাজ কাঁকড়া ভেসে এসেছে।
রোববার সকালে সৈকতে বিভিন্ন পয়েন্টে এসব সামুদ্রিক প্রাণী ভেসে আসার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সকালে হিমছড়ি সৈকতের মৃত একটি ইরাবতী ডলফিন ও রাজ কাঁকড়া ভেসে এসেছে। এর মধ্যে ডলফিনটি ছয় ফুট লম্বা এবং প্রায় ১২০ কেজি ওজনের। এ ছাড়া দরিয়ানগর প্যারাসেইলিং পয়েন্টে দুইটি এবং হাজমপাড়া ও টেকনাফ সৈকতে দুইটি মৃত অলিভ রিডলি মা কচ্ছপ ভেসে এসেছে।
“এসবের নমুনা সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে জানুয়ারি থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে ৯৬টি মৃত মা কচ্ছপ। এর মধ্যে গত ১১ দিনে পাওয়া গেছে ৫২টি মৃত মা কচ্ছপ।”
এসব কচ্ছপ থেকে সাত শতাধিক ডিমও সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল বলেন, মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অধিকাংশ কচ্ছপই জালের সুতোয় পেঁচিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। উপকূলে ডিম দিতে আসার সময় জেলেদের পাতানো জাল ও রশিতে পেঁচিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এসব কচ্ছপের মৃত্যু হয়েছে।”
এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে উখিয়ার সোনারপাড়া সৈকতে একটি এবং ইনানী সৈকতে একটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে।
১৫ ফেব্রুয়ারি হিমছড়ি সৈকতে মৃত অবস্থায় ভেসে আসে আরও একটি ইরাবতী ডলফিন। ১৪ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ভেসে আসে একটি মৃত পরপইস।
এর মধ্যে গত ২১ ফেব্রুয়ারি কুয়াকাটা সৈকতেও একটি মরা একটি ডলফিন পাওয়া গেছে। নতুন করে রোববার সকালে পাওয়া গেল আরও একটি মরা ডলফিন।
এ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মন্তব্য করে বোরির এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একের পর এক মরা মা কচ্ছপসহ সামুদ্রিক প্রাণী ভেসে আসার ঘটনায় গভীরভাবে চিন্তিত হয়ে উঠেছেন বিজ্ঞানী। মূলত সাগরে কী হয়েছে তা স্বচক্ষে দেখতে গভীর সাগরে যাওয়ার কথা ভাবছেন বিজ্ঞানী।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করে গভীর সাগরের পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
পুরানো সংবাদ
সৈকতে ভেসে এল আরও দুটি মৃত কচ্ছপ, পেটে ১৮৫ ডিম