“দুটি কচ্ছপের পেছনের দুটি এবং সামনের একটি ‘ফ্লিপার’ বা সাঁতার কাটার পাখনা ক্ষতিগ্রস্ত ছিল।”
Published : 18 Feb 2024, 04:32 PM
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দুটি মৃত কচ্ছপ ভেসে এসেছে। কচ্ছপ দুটির পেটে ২১৫টি ডিম পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, রোববার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া সৈকতে একটি ও পাশের রেজুখালের মোহনায় আরও একটি মৃত কচ্ছপ ভেসে আসে।
‘অলিভ রিডলি’ বা জলপাই রঙের এসব সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পাড়তে সৈকতের বালিয়াড়িতে আসার পথে মারা পড়েছে বলে মনে করছেন সমুদ্রবিজ্ঞানীরা।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় সোনারপাড়া সৈকতে ভেসে এসেছিল আরও একটি মা কচ্ছপ।
তরিকুল ইসলাম বলেন, “রোববার আসা দুটি কচ্ছপের পেটে ২১৫টি ডিম পাওয়া গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় আসা কচ্ছপটির পেটে ছিল ৯৫টি ডিম।
“দুটি কচ্ছপের পেছনের দুটি এবং সামনের একটি ‘ফ্লিপার’ বা সাঁতার কাটার পাখনা ক্ষতিগ্রস্ত ছিল।”
এর আগে পাওয়া কচ্ছপগুলোর শরীরেও আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে জানিয়ে এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, অন্তত ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে কচ্ছপগুলো মারা পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ডিম পাড়তে আসা মৃত কচ্ছপ উদ্ধারের ঘটনা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
“নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রজনন মৌসুম। ধারণা করা হচ্ছে, জেলেদের জালে বা অন্য কোনোভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কচ্ছপগুলো মারা পড়ছে।“
এর আগে গত শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার ইনানী ও হিমছড়ি সৈকতে তিনটি ডলফিন এবং সুগন্ধা পয়েন্টে একটি স্তন্যপায়ী পরপইসের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
কয়েকদিন ধরে ভেসে আসা মৃত সামু্দ্রিক প্রাণীগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন জানিয়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ বলেন, “বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে রোববার কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের সোনাদিয়া, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী ও টেকনাফ সৈকতে অন্তত ২৮টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।