মঙ্গলবার বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনের মামলাতেও খালাস পেয়েছেন বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
Published : 15 Jan 2025, 12:42 AM
আদালতের রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সবগুলো মামলা থেকে খালাস পাওয়ার খবরে নেত্রকোণায় আনন্দ মিছিল করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন খানের বাসভবনের সামনে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। পরে তারা মিছিল নিয়ে ছোট বাজার দলীয় কার্যালয়ে আসেন।
সেখান থেকে আবার মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি, জেলা বিএনপির সদস্য ইসলাম উদ্দিন খান চঞ্চল।
এ ছাড়া এদিন লুৎফুজ্জামান বাবরের নির্বাচনি এলাকা মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরীতেও আনন্দ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনের মামলাতেও খালাস পেয়েছেন বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
একই ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি খালাস পাওয়ায় এখন আর তার মুক্তিতে ‘বাধা নেই’ বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে জব্দ করা হয় ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে বন্দরনগরীর কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা করা হয়।
১০ ট্রাক অস্ত্র: অস্ত্র আইনের মামলাতেও বাবর খালাস, মুক্তিতে 'বাধা নেই'
পরে তদন্তে দেখা যায়, চীনের তৈরি এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ সমুদ্রপথে আনা হয় ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘উলফা’র জন্য। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওই চালান ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় দেয়। অস্ত্র আইনের মামলায় আসামিদের সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আর বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
গত ১৮ ডিসেম্বর হাই কোর্টের রায়ে এ মামলায় বাবরসহ সাতজন খালাস পান। পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে দেওয়া হয় আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং চারজনকে দেওয়া হয় ১০ বছর করে কারাদণ্ড। এছাড়া মতিউর রহমান নিজামী ও আব্দুর রহিম মারা যাওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে মামলা অকার্যকর হয়ে যায়।