কেজি প্রতি চাল ৪৫ টাকা, আলু ৫৪ টাকা, পেঁয়াজ ১৩০ টাকা, বেগুন ৫৫ টাকা, শশা ৪০ টাকা এবং ডিমের হালি ৪৯ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
Published : 23 Oct 2024, 02:37 PM
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে নাটোরে চালু হয়েছে ‘জনতার বাজার’। যেখান থেকে সপ্তাহে তিন দিন কম দামে চাল, ডিম, সবজি কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘নাটোর স্বার্থ রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে বাজারটি চালু হয় বলে জানান কমিটির সদস্য সচিব শেখ রিফাদ মাহমুদ।
শেখ রিফাদ বলেন, “নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তাই জনতার বাজার কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে জনসাধারণের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ও সবজি বিক্রয় করা হচ্ছে।
“যেখানে সরাসরি কৃষকের থেকে পণ্য কিনে ভোক্তার কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে, মাঝে থাকছে না কোনো সিন্ডিকেট। এতে সাধারণ জনগণের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।”
বুধবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, জনতার বাজারে চাল, ডিম, আলু, কচু, বেগুন, লাউ, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, শসা, ডিম, শাক বিক্রি হচ্ছে।
এর মধ্যে চাল প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৪৯, আলু কেজি প্রতি ৫৪ টাকা, পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১৩০ টাকা, বেগুন কেজি প্রতি ৫৫ টাকা।
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও সবজি পণ্যের পসরা সাজিয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। পথচারী ও স্থানীয়রা আগ্রহের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের থেকে পণ্য ক্রয় করছেন।
রফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, “জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দামে মানুষের জন্য বর্তমানে বাজার করা খুব কঠিন হয়ে গেছে। এখানে সবকিছুরই দাম কম।”
দিনমজুর হযরত আলী নামে আরেক ক্রেতা বলেন, “রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। এখানে ন্যায্যমূল্যে চাল, ডাল, সবজি বিক্রির হচ্ছে দেখলাম। বাজারের তুলনায় এখানে প্রতিটি পণ্য ৫ থেকে ১৫ টাকা দাম কম।”
নাটোর স্বার্থ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান পিয়াস বলেন, সম্প্রীতি, ঐক্য, শৃঙ্খলা মূলনীতিকে ধারণ করে ‘কারো সাথে সংঘাত নয়, ভালো উদ্যোগের সাথে আমরা’ স্লোগানে নাটোর স্বার্থ রক্ষা কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “সাম্য, মর্যাদা নিশ্চিত করে আগামীর সুন্দর, মানবিক, বাসযোগ্য নাটোর জেলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব দল, মত, ধর্ম, বর্ণ এবং শ্রেণিপেশার একত্রিত জোট- নাটোর স্বার্থ রক্ষা কমিটি।”
বাজারে স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত তাদের এই ‘জনতার বাজার’ কার্যক্রম চলমান রাখার প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “প্রতি সপ্তাহে তিনদিন (বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) জনতার বাজার কার্যক্রম চলবে। ভবিষ্যতে আমরা মাছ, মাংসসহ আরও পণ্য বাড়াবো।”