নাট্যকর্মীকে ‘যৌন হয়রানি’র অভিযোগ ওঠার পর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সিলেট শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটন পড়েছেন তোপের মুখে।
Published : 09 Apr 2023, 06:54 PM
নাট্যকর্মী এক তরুণীকে ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগ ওঠায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সিলেট শাখার প্রধানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ‘নগরনাট’ নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই আমিনুল ইসলাম লিটন ‘কথাকলি-সিলেট’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনেরও সাবেক সভাপতি। যৌন হয়রানির অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।
সেই তরুণীর অভিযোগ, তাকে মৌখিকভাবে এবং তার এক বন্ধুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ফেইসবুকে এ অভিযোগ তোলায় বিষয়টি নিয়ে সিলেটে নানা আলোচনা চলছিল।
তবে কে হয়রানি করেছেন, তা প্রকাশ করেননি সেই তরুণী। কদিন পর তিনি আরও একটি পোস্ট দেন। সেখানে লেখেন, তিনি আগের লেখাটি মুছে ফেলবেন।
এর পর থেকেই লিটনের পক্ষে বিপক্ষে ফেইসবুকে লেখালেখি চলছিল। তবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বা কথাকলি সিলেট কোনো প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিল না।
এর মধ্যে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘নগরনাট’ লিটনকে সিলেটে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে রোববার বিবৃতি পাঠায় সংবাদমাধ্যমে। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কথাকলি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রতি আহ্বান জানায় তারা।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, তারাও লিটনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন। সংগঠনের সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে।
লিটন অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলেছেন। দাবি করেছেন, এই প্রচার তৃতীয় পক্ষের কাজ। কারণ, সত্যিই কোনো ঘটনা থাকলে ফেইসবুকে না দিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিতেন নেই তরুণী।
এ অভিযোগ তার জন্য ‘বিব্রতকর’, তা স্বীকার করে লিটন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। বলেন, তিনি আপাতত সব ধরনের সংগঠন থেকে দূরে থাকবেন। তার দাবি, কোনো যৌন হয়রানি নয়, ‘মোটা হয়ে যাওয়ার’ বিষয়ে এক মন্তব্য করা নিয়েই এসব ঘটনা ঘটছে।
তবে যে তরুণীর লেখা নিয়ে তোলপাড়, তিনি বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন না।
নাট্যকর্মী তরুণীর অভিযোগ কী ছিল
গত ২২ মার্চ সেই তরুণী নিজের ফেসইবুকে একটি ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশ করে লেখেন - ‘দাড়ি লম্বা করে ফেললেই অতীতে বাচ্চা বাচ্চা মেয়েদেরকে যৌন হয়রানি করা লোকের বেহেশত নসিব হয় কি না তা আল্লাহ ভালো জানেন।
“এখনও গলা উঁচা করে ব্যুলি করার সাহস দেখলে জিহ্বা টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছা করে। এরা সমাজের মাথা হয়ে যাওয়ায় কেউ কিছু বলে না। পা চাটে। অথবা বাহবা দেয়। সবাই মুখ বন্ধ করে রাখে। কীসের লোভে? আসলে ভয়। প্রাণের ভয়। বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাওয়ার ভয়।”
গত ৪ এপ্রিল তিনি আবার ফেইসবুকে লেখেন, “আমি কিছুদিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, পোস্ট দেওয়ার কারণ ছিল আমি উক্ত লোকের দ্বারা ভারবালি হ্যারাস্ড হয়েছিলাম এবং আমার বন্ধু ছোটবেলায় ফিজিক্যালি হ্যারাসড হয়েছিল (সে নিজেও তার কথা বলেছে)। প্রতিবাদ স্বরূপ আমি পোস্ট করেছিলাম।
“আমি বা সে কারও কাছে বিচার চাইনি, কারও কাছে নালিশ দেইনি। এর কারণ হচ্ছে, আমাদের কোনো ইচ্ছা নাই আমাদের জীবনে কোনো উটকো ঝামেলা সৃষ্টি করার। আমার পাবলিক পোস্টে আমি উক্ত ব্যাক্তির কোনো পরিচয় উল্লেখ করিনি যার যা ভাবার ভেবেছেন, করেছেন, লিখেছেন। এখন প্রাইভেট ইনবক্স এবং পাবলিক পোস্ট গুলিয়ে ফেললে কী চলবে? আপনারা তো অনেক পড়াশোনা করা মানুষজন।”
তিনি আরও লেখেন, “প্রাইভেট ইনবক্সে দেয়া কথার নিরাপত্তা যদি আপনারা না দিতে পারেন যেখানে সবাই সবার কথা বলছিলেন, সবাই সবার মতামত দিচ্ছিলেন সেখানে শুধুমাত্র আমার কথাই পত্রিকায় আসতে হবে, তাও আমাকে না জানিয়ে ‘কনসেন্ট’ বলতে একটা ব্যাপার আছে জানেন তো? সেটা যদি নিউজপেপারের পাতায় চলে আসে তাহলে, আমার কোনো প্রয়োজন নেই আপনাদের কথা শোনার অথবা আমার বন্ধুই বা কোন নিরাপত্তায় সাক্ষ্য দেবে? আমি সেই নিকৃষ্ট লোকটাকে যতটা ভদ্রতা দেখিয়েছি। আপনারা আমাকে এর এক ভাগও দেখাতে পারলেন না।”
“আমি আমার ঐ পোস্টটা আর রাখব না’- এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও লেখেন, “দুঃখজনকভাবে অপরাধী আমাকে ভীতি সঞ্চার করার আগেই আপনারা করে ফেলেছেন। অপরাধী যদি নিষ্পাপ হত, সে গলা বড় করে আমাকে ওইদিনই জবাব দিতে পারত, কিন্তু দেয়নি। আর এদিকে আপনারা যা ইচ্ছা যেমন ইচ্ছা করে যাচ্ছেন। কিছু কাটছেন, কিছু রাখছেন। সুন্দর।
“আপনাদের সবার কাছে যদি যথেষ্ট কারণ থাকে তাহলে আপনারা যার যার মত করে নিজের সঙ্গে ঘটা সমস্যার সমাধান করুন প্লিজ। নিজের সমস্যা সমাধান করার জন্য আমাকে সামনে রাখবেন না। আমি আমার জন্য কথা বলেছি। আপনি (সবাই যারা নিজের জন্য আমাকে বিরক্ত করেছেন) আপনার জন্য বলুন, নাহলে চুপ থাকুন আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না।”
নগরনাট যা বলছে
রোববার দুপুরে নগরনাটের কার্যকরী কমিটির সদস্য অরূপ বাউল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “সাম্প্রতিক সময়ে কথাকলি, সিলেট-এর নাট্যকর্মী আমিনুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক নারী সংস্কৃতিকর্মী যৌন নিপীড়ন ও অশালীন আচরণের অভিযোগ উপস্থাপন করেন। এই অভিযোগগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সচেতন মহল থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
“এসব ন্যক্কারজনক ঘটনায় আমরা নগরনাট-এর অবস্থান স্পষ্ট করতে চাই। আমরা আমিনুল ইসলাম লিটনকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিতে চাই না এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই। আমরা মনে করি, এই ঘটনাগুলোর দায় সিলেটের প্রতিটি নাট্যকর্মী, প্রতিটি নাট্যদল এবং সম্মিলিত নাট্যপরিষদ সিলেট এড়িয়ে যেতে পারে না এবং আমরা নগরনাট, আমাদের সকল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেকে আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি, যতদিন পর্যন্ত নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারেন তিনি।”
‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নগরনাট নারী-পুরুষের সমতায় বিশ্বাস করে’ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা বিশ্বাস করি, নারীমুক্তি ও নারী স্বাধীনতা ব্যতীত একটি জাতির বিকাশ সম্ভব নয়। এজন্য আমরা সবসময় নারী নির্যাতন, নিপীড়ন, অনৈতিক, কুরুচিপূর্ণ, বৈষম্যমূলক যে কোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম এবং আছি। নারীকে যৌন নির্যাতন ও হয়রানির বিপক্ষে আমাদের অবস্থান তাই স্পষ্ট “
বিবৃতিতে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের কাছে কিছু দাবিও জানায় নগরনাট। এগুলো হলো-
# কথাকলি, সিলেট নাট্যকর্মী আমিনুল ইসলাম লিটনকে যাতে বহিষ্কার করে সেজন্য সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। একই সঙ্গে তার বহিষ্কারাদেশ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
# কথাকলি, সিলেট আমিনুল ইসলাম লিটনকে প্রকাশ্যে বহিষ্কার না করলে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ থেকে তাদের সদস্যপদ বাতিল করা।
# নারী নাট্যকর্মীদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে এরকম কোনো নির্যাতনমূলক ও অনৈতিক ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সম্মিলিত নাট্য পরিষদের অধীনে একটি বিশেষ সেল গঠন করা।
প্রকাশিত অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের উদ্যোগ না নিয়ে যারা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ‘আড়াল করার’ প্রচেষ্টা নিয়েছেন এবং ‘ভয়ভীতির আবহ তৈরি করে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা’ করেছেন তারা নিপীড়কের সাথে সংযুক্তির দায় এড়াতে পারেন না বলেও মন্তব্য করা হয়েছে নগরনাটের বিবৃতিতে।
‘সব ষড়যন্ত্র’ বলে সংগঠন ছাড়লেন লিটন
এসব ঘটনায় আমিনুল হক লিটন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়য়ন্ত্র। অভিযোগের বিষয়ে এখনও কোনো ভিকটিম প্রশাসনিক বা লিখিত অভিযোগ করেননি।”
এগুলো ‘তৃতীয় পক্ষ’ ছড়াচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন।
তবে নগরটানের বিবৃতির পর লিটন ফেইসবুকে দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, “গত মার্চে কথাকলির নাট্য উৎসব চলাকালে আমি দলের একাধিক সদস্য ও উৎসবের অতিথিদের সামনে তার (সেই তরুণী) মোটা হয়ে যাওয়া নিয়ে খুবই হালকা মেজাজের একটা মন্তব্য করেছিলাম। সেই মন্তব্যটাকে ওই সময় উপস্থিত কেউই খুব গুরুতর কিছু মনে করেননি, বা কোনো আপত্তিও তোলেননি। আর আমিও খেয়াল করিনি যে কথাটায় (সেই তরুণী) অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছে।”
তিনি লিখেছেন, “আমি স্বীকার করি, আজকের যুগের নৈতিকতার মানদণ্ডে কারও মোটা হয়ে যাওয়া নিয়ে মন্তব্য করা ‘বডিশেমিং’ হিসেবে গণ্য। সেই হিসেবে তাকে ওই মন্তব্য করাটা উচিত হয়নি।
“কিন্তু আমরা বড় হয়েছি একটা মফস্বল শহরে, যেখানে ছোটবেলা থেকেই চিকন, মোটা, লম্বা, খাটো, কালো, সাদা এগুলো নিয়ে নিজেরা যেমন বন্ধুবান্ধবদের মন্তব্য শুনেছি, তেমনি স্বীকার করতে আপত্তি নেই যে, ওরকম মন্তব্য নিজেরাও করেছি।
“বর্তমানে এসব চর্চা নিরুৎসাহিত করা হলেও বলতে দ্বিধা নেই যে পুরোনো অভ্যাসে এমন মন্তব্য এখনো আমাদের মুখ থেকে বের হয়ে আসে, যা উচিত নয়।”
তিনি দুঃখও প্রকাশ করেন সেই পোস্টে। লেখেন, “ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে এমন মন্তব্যের জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত। মজা করতে গিয়ে একেবারে অজান্তে, অনিচ্ছায় তাকে মানসিকভাবে কষ্ট দেবার জন্য আমি খুবই লজ্জিত।”
নিজেদে নির্দোষ দাবি করে লিটন লিখেছেন, “এখানে সবার অবগতির জন্য একটা বিষয় পরিষ্কার করে জানাতে চাই যে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কারো নামে অভিযোগ করলেই তাকে দোষী হিসেবে গণ্য করা যায় না। যতক্ষণ পর্যন্ত না আদালতে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সর্বক্ষেত্র তাকে নির্দোষ হিসেব গণ্য করতে বাধ্য।
“আমার বিরুদ্ধে আদালতে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া তো দূরের কথা, আমার নামে আজ পর্যন্ত এসব অভিযোগে কোনো মামলাও দায়ের করেনি কেউ। আমি নির্দোষ।”
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কল রেকর্ড তার নয় এমন দাবি করে লিটন একে ‘কারসাজি’ বলেন। তিনি লেখেন, “আমার ভয়েস নকল করে এক নারী ও পুরুষের টেলিফোন কথোপকথনে পুরুষ কণ্ঠটিকে আমার কণ্ঠ বলে প্রচার করছেন, যা কোনোভাবেই আমার কণ্ঠ নয়। ওই ক্লিপের নারী কণ্ঠের মানুষও আমার পরিচিত নয়। কারও সঙ্গে আমার এ রকম কোনো আলোচনা হয়েছিল বলেও মনে করতে পারি না আমি।
“আজকের ‘ডিপ ফেইক’ প্রযুক্তির যুগে অডিও, ভিডিও, কিংবা ফেসবুকের স্ক্রিনশট নকল করা খুবই মামুলি বিষয়। এর পরে হয়ত দেখা যাবে কেউ আমার একটা নকল ভিডিও কিংবা নকল ইমেইল অথবা নকল ফেইসবুক চ্যাটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে অপপ্রচারে নেমেছেন।”
সব ধরনের সংস্কৃতিক সংগঠন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথাও জানান লিটন। তিনি লেখেন, “আমি যত ধরনের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে জড়িত আছি, সব জায়গা থেকে আপাতত বিরতি নিচ্ছি, কারণ আমি চাই না আমার জন্য আমার কোনো বন্ধু বা সহকর্মী বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ুক।”
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কী বলছে
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “এ রকম ঘটনা সিলেটের সংস্কৃতি অঙ্গণের জন্য লজ্জাজনক। সম্মিলিত নাট্য পরিষদ এ বিষয়ে একটি যৌথ সভা করেছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, উনার সংগঠনকে সভার সিদ্ধান্তগুলো জানানো হবে। সম্মিলিত নাট্য পরিষদ এ রকম ঘটনার সঙ্গে আপস করবে না।”
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য শাসসুল আলম সেলিম জানান, এ বিষয়ে শিগগিরই জানানো হবে।
তবে সংগঠনের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, “লিটনকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।”