ফরিদপুরে জবাই করে বাবাকে হত্যার দায়ে ছোট মেয়ের মৃত্যুদণ্ড এবং স্ত্রী ও বড় মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমার দত্ত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. নওয়াব আলী মৃধা।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিলুফা আক্তার (৩১) সালথার উপজেলার খোয়ারাগট্টির বাসিন্দা।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সাহিদা পারভিন (৫৫) ও তার বড় মেয়ে হাফিজা বেগম (৩৭) ওই এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বরাত দিয়ে পিপি নওয়াব আলী মৃধা বলেন, হাফেজ আবুল বাশার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ফরিদপুর শহরের আলীপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে করায় আবুল বাশারের সঙ্গে প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ের বনিবনা হচ্ছিল না।
“এর জের ধরে ২০১৬ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ে মিলে বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়াইয়ে জবাই করে হত্যা করেন।”
আইনজীবী বলেন, এ ঘটনার পরদিন ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় বাশারের ভাই লোকমান ফকির বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। বিচারকাজ শেষে বৃহস্পতিবার আদালত এ রায় দেয়।
রায়ে আদালত ছোট মেয়েকে মৃত্যুদণ্ড এবং স্ত্রী ও বড় মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেককেই ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা জরিমানার টাকা জমা না দিলে অতিরিক্ত তিন মাস কারাদণ্ড ভোগ করবেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।