নরসিংদীতে ছাত্রদলের একাংশের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় গুলিতে দুই নেতা-কর্মী হত্যার মামলায় বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী শিরিন সুলতানাকে আসামি করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের দুদিনের মাথায় শুক্রবার রাতে নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন বলে জানান নরসিংদী সদর মডেল থানার এসআই অভিজিৎ চৌধুরী।
মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহসচিব ও নরসিংদী জেলার আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামির তালিকায় আরও ৩০-৪০ জনকে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার রাতেই পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেও তাদের নাম-পরিচয় জানাননি এসআই।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চিনিশপুরস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয় এলাকায় পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় সংঘবদ্ধ হামলা চালায়। এতে দুই ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে নরসিংদী শহরের অস্থায়ী কার্যালয়ের কাছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক (৩২) ও আশরাফুল ইসলাম (২০) গুলিবিদ্ধ হন।
ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাদেকুর রহমান সাদেক মারা যান। শুক্রবার সকালে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আশরাফুল ইসলাম।
গত ২৬ জানুয়ারি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে সভাপতি, মাইনুদ্দিন ভুইয়াকে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের (আংশিক) জেলা কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন পদ না পাওয়া সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এর জেরে খায়রুল কবীর খোকনের চিনিশপুরের বাসভবনে একাধিকবার হামলার ঘটনাও ঘটে।
আরও পড়ুন:
নরসিংদীতে ছাত্রদলের সংঘর্ষে আহত আশরাফুলও মারা গেছেন
নরসিংদীতে দুপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিতে ছাত্রদল নেতা নিহত
নরসিংদীতে বিএনপি কার্যালয়ে ফের হামলা
‘খায়রুল কবির খোকন আমাদের গুলি করেছেন‘, অভিযোগ ছাত্রদল কর্মীদের