বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনের বাসভবনে আবারও হামলা

বাসভবনটির একটি অংশ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নরসিংদী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2023, 12:52 PM
Updated : 20 May 2023, 12:52 PM

নরসিংদীর চিনিশপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাসভবন ফের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান।

বাসভবনটির নিচতলা জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 

ভাঙচুরের পর বাসভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে দেয় জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে জায়গা না পাওয়া নেতা-কর্মীরা।

Also Read: নরসিংদী জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ

গত ২৬ জানুয়ারি জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে পদ না পেয়ে ওইদিন রাতেই কিছু নেতা-কর্মী কার্যালয়টিতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। পরে আরও কয়েকবার হামলার ঘটনা ঘটে।

জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার আগে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও সদ্য বহিষ্কৃত নেতা মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, শনিবার জেলার জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে বৈঠক করার কথা ছিল যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের। এ খবর পেয়ে পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা কার্যালয়টির সামনে অবস্থান নিয়ে ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করছিল। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কাউকে না পেয়ে প্রায় অর্ধশত ছাত্রদল নেতা-কর্মী ইটপাটকেল ছুড়ে বাসভবনের কাচ ভাঙচুর করে ও প্রধান ফটকে তালা দেন।

এ সময় খায়রুল কবির খোকনকে নরসিংদী জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে স্লোগান দেন তারা।  

তাদের অভিযোগ, ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটিতে বিভিন্ন মামলার আসামি ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের রাখা হয়েছে।

তাদের দাবি, এই কমিটি বাতিল করে ত্যাগীদের দিয়ে কমিটি করতে হবে। না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খায়রুল কবির খোকন মোবাইল ফোনে বলেন, “আমি ঢাকা থেকে খবর পেয়েছি, আমার বাসভবন তথা জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে কিছু সন্ত্রাসী ও সরকারের দালাল ঢিল ছুড়েছে। এ সময় বাসভবন ও অফিসে কেউ ছিল না। হামলাকারীদের খুঁজে বের করে ও দলীয়ভাবে আলোচনার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, “হামলাকারীরা সন্ত্রাসী, তারা আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলেই কী আর না করলেই কী?”

নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। হামলা-ভাঙচুরের বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেননি।