বিচারক আজমীরা ফেরদৌসী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন
Published : 08 Apr 2025, 09:27 PM
বাগেরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য, পুলিশসহ প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সেই মামলার শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বাগেরহাটের বিচারিক হাকিম আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক আজমীরা ফেরদৌসী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) এস এম মাহাবুব মোর্শেদ লালন।
এর আগে সোমবার বিকালে সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের গোপালকাঠি গ্রামের বাসিন্দা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী মিরাজ সেখ মামলাটি করেন। মামলায় সাতজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে গত বছরের ৪ অগাস্ট সকালে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা বাগেরহাট আদালত চত্বরে পৌঁছায়। তখন পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস, বোমা নিক্ষেপ, লাঠিপেটা ও গুলি বর্ষণ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা রামদা, চাপাতি, লোহার রড দিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করে এবং তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। হামলায় আন্দোলনকারীদের অনেকেই কমবেশি আহত হন।
আন্দোলনকারীরা তখন প্রাণের ভয়ে আদালতে ও থানায় মামলা করতে সাহস পাননি বলে ওই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।
মামলায় ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত এক থেকে দেড়শ জনকে আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, পুলিশ সুপারের পদমর্যাদার বাগেরহাটের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাসুদ রানা, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মো. মামুনুর রশীদ, বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক (ডিআই-১) সৈয়দ বাবুল আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র খান হাবিবুর রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দীন, জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর, জেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি লুনা সিদ্দিকী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ফজলে সাঈদ ডাবলু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার নাহিয়ান আল সুলতান ওশান, ব্যবসায়ী তাপস কুমার সাহা।
এ ছাড়া আসামির তালিকায় আইনজীবী, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নাম রয়েছে।