এবার নির্ধারিত তারিখের আগে অনিয়ম করে পাড়া ৫০ টন আম নষ্ট করা হয়েছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
Published : 09 May 2024, 08:22 PM
গোপালভোগ, গোলাপখাস, শরিখাস, বৈশাখী ও বোম্বাই এই পাঁচ জাতের আম পেড়ে সাতক্ষীরায় এই মৌসুমের আম সংগ্রহ কর্মসূচির শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার কুখরালীতে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের এই আম সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম।
সাতক্ষীরার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, সাতক্ষীরার সব জাতের আম দেশের অন্য জেলা থেকে আগে পাকে এবং তা বাজারজাত হয়। এবারও সবার আগে পাঁচ জাতের আম নিয়ে শুরু হলো আম সংগ্রহ কার্যক্রম।
তিনি আরও জানান, মাটি ও ভৌগোলিক কারণে সাগর নিকটবর্তী হওয়ায় সাতক্ষীরার আম তুলনামূলক বেশি সুস্বাদু।
এছাড়া সাতক্ষীরার নির্ধারিত আম দিনপঞ্জিকা রয়েছে। এর আগে আম পাড়লে সে আম ভোক্তাদের কাছে পৌঁছুতে দেওয়া হয় না। প্রশাসন ও কৃষি অফিসের অভিযানে বিনষ্ট করে দেওয়া হয়।
এবারও নির্ধারিত তারিখের আগে যারা অনিয়ম করে আম পেড়েছেন সেরকম ৫০ টন আম নষ্ট করা হয়েছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত জানান, গত বছর সরকারি যোগাযোগে ১২৫ টন সাতক্ষীরার আম ইউরোপের বাজারে গিয়েছে। এবার তা ৫০০ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গোপালভোগসহ পাঁচ জাতের আম পাড়ার উদ্বোধন করা হলেও মনে রাখতে হবে। গাছের সব আম একসাথে পাকে না। সুতরাং আমের রং আসার আগে না পাড়ার অনুরোধ জানান তিনি।
এদিকে আম পাড়তে পেরে এবং বাজারজাত করতে পারার আনন্দে প্রকাশ করেছেন অপেক্ষায় থাকা আমচাষিরা। সন্তুষ্টি জানিয়েছেন ভোক্তারাও।
ত্রিশ বছর ধরে আম বাগান করা চাষি মোকছেদ মোড়ল বলেন, সাতক্ষীরার কোনো চাষি আগেভাগে আম পাড়ে না। কৃষি অফিসের নিয়ম মেনে চলে। কিন্তু বাইরে থেকে আসা ফড়িয়ারা অধিক মুনাফার আশায় কিছু কিছু সাধারণ আম গাছ মালিককে বেশি টাকা দিয়ে আগেভাগে অপুষ্ট আম পাড়ে।
“তবে প্রশাসনের কাছে তা ধরাও পড়ে। এতে তাদের আর্থিকভাবে যতটা না ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে, তার থেকে বহুগুণ বেশি সাতক্ষীরার আমের সুনামের ক্ষতি হচ্ছে।”
এবারের আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার মেট্রিক টন। চাষাবাদ হয়েছে ৪ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে। এবার আম নামবে ৫ পর্বে। ৯ মে গোপালভোগের পর ১১ মে পাড়া শুরু হবে গোবিন্দভোগ। সাতক্ষীরার সবচেয়ে বেশি আকর্ষণের হিমসাগর আম বাজারে আসবে ২২ মে। এরপর ২৯ মে ল্যাংড়া জাতের আম, এবং সবশেষে আসবে উচ্চফলনশীল আম্রপালি জাতের আম।