অর্থ-সংগঠন-নেতৃত্ব-রাজনীতি সবক্ষেত্রেই গোটা ভারতে বিজেপিকে রুখবার ক্ষমতা এককভাবে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। বিজেপিবিরোধী জোটবদ্ধতার আক্রমণকেও বিজেপি নানাভাবে দুর্বল করে দিয়েছে।
Published : 01 Jun 2024, 09:23 AM
বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি ও বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের নির্বাচন নিয়ে আমাদের আগ্রহের কমতি নেই। বাংলাদেশের তিনদিকে ভারত ও একদিকে বঙ্গোপসাগরের অবস্থান। আবহমান কাল থেকে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ঐক্যের পাশাপাশি মতানৈক্যও রয়েছে। বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অনেকগুলো বিষয়ে ভারত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাই ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় একটি ফ্যাক্টর। দেশটির জিডিপি এখন প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি মার্কিন ডলার। গত বছর যুক্তরাজ্যকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে ভারত।
দিল্লির মসনদের মুকুট কার মাথায় উঠছে তা জানা যাবে আগামী ৪ জুন। এবারের (২০২৪) নির্বাচনে গত দু-বারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে হ্যাটট্রিক করবেন নাকি কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট মোদীকে থামাবার চ্যালেঞ্জে সফল হবে? ভোটদান পর্ব এখনও শেষ না হলেও রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন অনেক বেশি দৃশ্যমান। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল বেরোনোর আগে ভোট কৌশলীরা মাঠে নেমেছে কোমর বেঁধে। কার দখলে যাবে দিল্লির মসনদ? কে হবেন লোক কল্যাণ মার্গের আগামী পাঁচ বছরের বাসিন্দা?
ভারতের লোকসভার মোট আসন (৫৪৩+২) ৫৪৫, ৫৪৩টি আসন সাধারণ ভোটে নির্বাচিত এবং ২টি আসন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত সংসদ সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত। ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভারতীয় নাগরিকের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এবারের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ তথা লোকসভা নির্বাচনের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে। ভারতের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জুড়ে এই পরিমাণ ভোটার রয়েছে, যা ইউরোপের সব দেশের জনসংখ্যার থেকেও বেশি।
ভোট বিশ্লেষকদের দাবি, ২০১৯ সালের পুলওয়ামার ঘটনাটি যেভাবে মোদীকে নির্বাচনে জয়ী হবার রসদ জুগিয়েছে, এবার একক কোনো ইস্যু নেই যে যা তাকে সহজে বৈতরণী পার করতে সহায়তা করবে। রাম মন্দির ইস্যু কিংবা হিন্দুত্বের দোহাই দিয়ে ভোটারদের প্রাণপণে আকৃষ্ট করার চেয়ে উচ্চ বেকারত্ব ও কর্মসংস্থান এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এর সাথে যুক্ত হয়েছে আঞ্চলিক রাজ্যের চাওয়া-পাওয়া, দুর্নীতি, বন্ড কেলেঙ্কারি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। একক কোনো ইস্যুর চেয়ে বরং বিভিন্ন ইস্যুর নিরিখে ভোটাররা তাদের কাঙ্ক্ষিত রায় দেবেন। বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন যে নতুন সৃষ্টি হওয়া বেশিরভাগ কাজই খুব কম বেতনের চাকরি যা একটি বড় ফ্যাক্টর হবে এই নির্বাচনে।
অন্যদিকে গত নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর এবার তারা মোদী বিরোধী সকল দলকে নিয়ে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছে। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে রয়েছে বিস্তর সংশয়। ভোটের মাঠে মোদী ম্যাজিক মোকাবেলা করতে বিরোধীরা কতটুকু প্রস্তুত তা হয়তো ফলাফলই বলে দেবে। ইন্ডিয়া জোটের মূল কারিগর বিহারের নীতিশ কুমারের পল্টিবাজ রাজনীতি অনেকটা ব্যাকফুটে রেখেছে জোটকে। যদিও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমেন্ত সরেন ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইন্ডিয়া জোটের পালে হাওয়া লেগেছে। বিজেপি সরকার দুর্নীতিবিরোধী সব তদন্ত সংস্থা ইডি, সিবিআই, আয়কর বিভাগ ইত্যাদি দিয়ে বিরোধীদেরকে জব্দ করার কৌশলে অনেকটা চাঙ্গা হয়েছেন বিরোধীরা বলে দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের। তারা এখন মোদী বিরোধী বৃহৎ শক্তিতে পরিণত হয়েছে, পূর্বের চেয়ে অনেক দৃশ্যমান ঐক্য তাদের সৃষ্টি হয়েছে। মোদীর চোখে আঙ্গুল রাঙিয়ে দেওয়ার মতন শক্তি সৃষ্টি করেছে এই ইন্ডিয়া জোট।
গত ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির একক প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৭.৩৬% এবং আসন ২৯৩ পরে তা ৩০৩–এ উন্নীত হয়। বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত এনডিএ জোটের সমন্বিত মোট ভোট ছিল ৪৫% এবং মোট আসন ৩৫৩। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নিজস্ব আসন ছিল ৫০ এবং কংগ্রেস ও জোট সঙ্গীদের সমন্বিত আসন হয়েছিল মোট ৯১। দুই জোটের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আসন ছিল ৯৮। ২০১৯–এর লোকসভা নির্বাচনে মোট ৩৮টি দল ও অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিল।
কে আসতে চলেছে ক্ষমতায়? ভারতের প্রখ্যাত ভোট কুশলী যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত কিশোর এই প্রশ্নের উত্তরে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। ভারতের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২৭২টি আসনে জেতা জরুরি। তবে যোগেন্দ্র মত দিয়েছেন, ২৭২ আসনের চেয়েও অনেক কম আসন পাবে এবার বিজেপি। এমনকি শরিকদের (এনডিএ) নিয়েও এবার সরকার গঠনে ব্যর্থ হতে পারে নরেন্দ্র মোদীর দল। অন্যদিকে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন কোনোক্রমেই ম্যাজিক ফিগার ২৭২-এর কমে আসবে না আবার ৩৭০ এর ওপরেও যাবে না এনডিএ তথা বিজেপি জোট। নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি আশা করছে, এবার ৪০০ আসনের বেশি পেয়ে তারা আবারও সরকার গঠন করবে। তবে নির্বাচনের শেষপর্যায়ে এসে বিজেপির এমন আশাকে দুরাশা বলছেন ভারতীয় সিফোলজিস্ট বা নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তারা বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে এমন মত দিয়েছেন, দেখছেন নির্বাচনে ভোটারদের কম উপস্থিতি যা শাসকদলকে খানিকটা লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করবে।
বিজেপি একাই ভারতের ২৮টি রাজ্যের ১২টি নিয়ন্ত্রণ করে, যেখানে কংগ্রেস মাত্র তিনটি রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ করছে। নির্বাচনের শুরুতে মোদীর হাওয়া থাকলেও ফল বেরোনোর আগে তা বদলানো শুরু হয়ে গেছে বলে দাবি বিরোধীদের। জোট দলগুলোকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কংগ্রেস এবার ৩০৩ আসনে প্রার্থী দিয়েছে, যা কংগ্রেসের ইতিহাসের সর্বনিম্ন। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন এটা কি বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেওয়া নাকি অসহায় আত্মসমর্পণ?
নির্বাচন সমীক্ষা বলছে বিজেপি এবার পূর্ব ভারত থেকে দক্ষিণ ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে আসন হারাবে। এ অঞ্চলে রয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, বিহার, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। অন্যদিকে বিজেপির মূল শক্তির উৎস উত্তর ভারত ও পশ্চিম ভারত। আসাম, উড়িষ্যা, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, অন্ধপ্রদেশ ও কেরালায় বিজেপির ভোট বাড়ছে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন তারা। অন্ধ্র প্রদেশে চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে জোটে থাকার কারণেও আসন বাড়তে পারে বিজেপির। অন্যদিকে বিহারে ভোট কমার কারণ নীতিশের পল্টিবাজি রাজনীতি, উত্তর প্রদেশের আরএনডি, মহারাষ্ট্রে শিবসেনার দুইভাগে একনাথ শিন্ডে ও উদ্ধব ঠাকরে পৃথক হয়ে যাওয়া মূল কারণ। এবার উত্তর প্রদেশে বিজেপির পক্ষে পরিস্থিতি অনুকূল নয় বলে মত দিয়েছেন অনেকে। বিজেপি বেশ কয়েকটি আসন হারাবে এই প্রদেশে। এতদিন ধরে উত্তর প্রদেশ ও গুজরাটের ভোটে ভালো ফলাফলই সাফল্যের শিখরে পৌঁছিয়েছে বিজেপিকে। এবারও সেই উত্তর প্রদেশের ওপর নির্ভর করছে বিজেপির ভাগ্য।
বিজেপির সাথে ইন্ডিয়া জোটের ভালো ফলাফল করতে হলে, কংগ্রেসের সাথে বিজেপির একক ফাইট করতে হবে। পূর্বে দেখা গেছে কংগ্রেস যে সমস্ত আসনে জয়ী হয়েছে তা বিজেপি ছাড়া অন্য দলগুলোর সাথে যুদ্ধ করে। তাই কংগ্রেসের একক স্ট্রাইকিং রেট বাড়াতে হবে। নরেন্দ্র মোদীর ৪০০ আসনের টার্গেট রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া কিছুই নয় বরং যা বিরোধীদের ভোটের মাঠে চাপে রাখার কৌশল মাত্র বলে ভাবছেন বিশ্লেষকরা। ‘জিতে যাচ্ছে' এই হাইপ তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি— নানারকম এক্সিট পোলের ফল ও নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া দিয়ে। এটাও ঠিক নরেন্দ্র মোদীর পালে এখন হাওয়া নেই আগের মতো আবার বদনামও নেই জোরালো। তাই হলফ করে বলা যায় মোদীর জোট এনডিএ রাতারাতি ৩৫০ থেকে ২৫০ এ নেমে আসবে না। তাদের আসন কমবে ঠিক আছে কিন্তু সরকার গঠন করতে পারবে না এমনটা আশা করা যায় না। কিছু রাজ্যে আসন কমলেও দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোর আসন দিয়ে ঠিকই তা পুষিয়ে নেবে মোদী সরকার। বিজেপি মোদীর উজ্জ্বলা যোজনা, জন ধন যোজনা, আবাস যোজনার মতো গ্যারান্টি দিয়ে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছে।
উত্তর ভারতে, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মধ্যে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাত্রার অসন্তোষ থাকা সত্ত্বেও বিজেপি এখনো বিভিন্ন বর্ণ-গোষ্ঠী নিয়ে গঠিত সমাজে তার সামাজিক অস্তিত্ব ধরে রাখতে পেরেছে। কিছু বৃহত্তর বর্ণ-গোষ্ঠী, যেমন রাজপুতরা কিছু অঞ্চলে বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ দেখিয়েছে। অন্য ছোট বর্ণ-গোষ্ঠীগুলো, যারা গত কয়েকটি নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করেছে, তারাও তাদের অসন্তোষ দেখিয়েছে। এই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই নির্ভর করছে ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশের ওপর, যেখানে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৮০টি আসন রয়েছে।
গতবার নরেন্দ্র মোদীর ভোটের প্রধান সেনাপতি ছিলেন চাণক্য অমিত শাহ। এবারের নির্বাচনে মোদীর ইউনিটে যুক্ত আছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ আরও অনেকে। আরও সাথে আছে আরএসএস-এর মতো মাঠপর্যায়ের সংগঠন।
বিজেপি আর্থিকভাবেও শক্তিশালী। তারা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিপুল অর্থকে এই নির্বাচনে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সর্বভারতীয় দল হিসেবে বিজেপির সাংগঠনিক ক্ষমতা যথেষ্ট সংহত। বলা যায়, ভারতে বিজেপি এখন পিকফর্মে রয়েছে। অর্থ-সংগঠন-নেতৃত্ব-রাজনীতি সবক্ষেত্রেই গোটা ভারতে বিজেপিকে রুখবার ক্ষমতা এককভাবে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। বিজেপিবিরোধী জোটবদ্ধতার আক্রমণকেও বিজেপি নানাভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। আঞ্চলিক স্বার্থ, অর্থ, পদলাভ ইত্যাদি বিবেচনায় এবারের নির্বাচনে ভারতব্যাপী বিজেপির জয়লাভ ঠেকানো সহজ নয়। তবুও, বিজেপিবিরোধী লড়াইয়ে রাহুল গান্ধী, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি ও পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূমিকা পালন করছেন।
১৯৮৪ সালের পরে আর কোনো দল এককভাবে ৩৭০টি আসন জয়লাভ করতে পারেনি। ওই বছরের নির্বাচনে কংগ্রেস এই অসাধ্য সাধন করেছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কংগ্রেস এককভাবে ৪১৪টি আসন পায়।
এবারের নির্বাচনে যদি নরেন্দ্র মোদী জেতেন এবং আরও পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকেন, তাহলে তিনিই হবেন ভারতের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ মেয়াদের সরকার প্রধান। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু প্রায় ১৬ বছর ৯ মাস দেশ শাসন করেন। আর তার কন্যা ইন্দিরা গান্ধী দেশ শাসন করেন ১৫ বছর ১১ মাস।
ভারতের নির্বাচনে যে-ই প্রধানমন্ত্রী হোক না কেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি শৃঙ্খলা ও দুর্ভিক্ষ নির্মূলে এক দেশ অন্য দেশের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে— এমনটিই প্রত্যাশা আমাদের সকলের। ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আগ্রহী হোক এটাই ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী কাছে বাংলাদেশের চাওয়া।