বাঁচানো গেল না টাঙ্গাইলে গুলিবিদ্ধ ইমনকে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৪ দিন চিকিৎসার পর মারা গেছেন টাঙ্গাইলের ইমন।

রোববার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইলের সমন্বয়ক নবাব আলী।

মো. ইমন (২১) গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন এলাকার প্রয়াত জুলহাসের ছেলে।

তিনি মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাশ করে হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ৪ অগাস্ট বিকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াইতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই দিন আহত ইমনকে নিয়ে ঢাকার উত্তরার লেক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৬ অগাস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার মারা যান তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, "মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।"

স্বজনরা জানান, ইমন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় তার ভ্যানচালক বাবা মারা যান। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় হওয়ায় অল্প বয়সেই সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে।

টিউশনি করে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি সংসার চালিয়ে ছোট তিন ভাই-বোনকেও স্কুলে ভর্তি করান ইমন। অত্যন্ত মেধাবী ইমন স্বপ্ন দেখতেন, পড়াশোনা শেষ করে ভালো চাকরি পেয়ে একদিন সংসারের দুঃখ দূর করবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হল না ইমনের।

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন: গুলিবিদ্ধ ইমন-তালহার চিকিৎসা নিয়ে শঙ্কা