দলের কোনো নেতাকর্মী রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিলে তাকে আর বিএনপির রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হবে না জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু।
রোববার সকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে নগরীর মালোপাড়ায় মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
মিনু বলেন, আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের কেউ অংশ নিলে তাকে বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।
তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। এই নির্বাচন ভোট ডাকাতি এবং প্রহসনের নির্বাচন হবে।”
আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর প্রত্যয় জানিয়ে এই নেতা বলেন, “এই নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে।”
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন ভোট হবে উত্তরের এই নগরীতে। আর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন ২৩ মে পর্যন্ত।
শুরুতে জানা গিয়েছিল মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. সাহিদ হাসান নির্বাচনে মেয়র পদে লড়বেন। তবে গত বৃহস্পতিবার তিনি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানান।
নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপির নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান, বর্তমানে দলটির কোনো পদে না থাকা সাবেক এই নেতা।
তবে দলীয়ভাবে না হলেও রাজশাহীর অন্তত ২৫ জন বিএনপিপন্থি নেতা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের জন্য নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে। অবশ্য এদের বিষয়ে দল থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রসঙ্গেও কথা বলেন মিনু।
লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, গত ১৯ মে পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরের জনসভা শেষ করে বাড়িতে ফেরার পথে বিএনপি ও সহযোগী সংঠনের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এভাবে বিনা কারণে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার সব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তিও দাবি করেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির ত্রাণ ও পুণর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ।