এখনো পায়ে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন বরগুনার সিদ্দিক

এখনো মাঝে মাঝে স্প্লিন্টারের ব্যথায় কাতর হলেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেছেন তিনি।

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2023, 04:47 AM
Updated : 21 August 2023, 04:47 AM

২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত বরগুনার তালতলীর সিদ্দিক তালুকদার এখনো পায়ে স্প্লিন্টার বহন করে বেড়াচ্ছেন।

এখনো মাঝে মাঝে স্প্লিন্টারের ব্যথায় কাতর হলেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেছেন তিনি।

তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামের নুরুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে সিদ্দিক তালুকদার। তিনি পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানান তালতলী আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজবি-উল-কবির জোমাদ্দার।

সিদ্দিক জানান, ১৯৯৬ সালে জীবিকার তাগিদে গ্রাম থেকে ঢাকায় যান। ঢাকায় রিকশা চালাতেন।

বর্তমানে ৪৫ বছর বয়সি সিদ্দিক কিশোর বয়স থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত ভক্ত। আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশের খবর শুনলেই ছুটে যেতেন তিনি। 

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যান সভানেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনতে।

সিদ্দিক তালুকদার বলেন, “ওইদিন বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনতে গেলাম। নেত্রীর বক্তব্য শুরুর সাথে সাথেই শব্দ আর শব্দ। তখন বুঝতে পারি নাই আসলে কী ঘটেছে। সমাবেশে উপস্থিত মানুষজন দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করতে থাকেন। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে কেউ একজন আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বুঝতে পারি, আমার পায়ে গ্রেডেনের স্প্লিন্টার ঢুকেছে। দুইদিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে অজানা ভয়ে পালিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছি। আর ঢাকায় ফিরে যাইনি।”

তিনি আরও বলেন, পায়ের স্প্লিন্টার এখন মাংসের সঙ্গে মিশে গেছে। মাঝেমধ্যে বেশ ব্যথা জাগে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

জীবন-জীবিকার তাগিদে দিনমজুরি করা সিদ্দিক পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্যের দাবি জানান।

তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি-উল-কবির জোমাদ্দার বলেন, “সিদ্দিক তালুকদারের চিকিৎসার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।”