Published : 30 Dec 2022, 11:10 PM
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় এক যুবককে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আজমপুর গ্রামের খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত যুবককে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও স্বজনরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ তাদের ছিনিয়ে নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানায়, মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের ফরহাদ আলম ও জিয়াউর রহমানের লোকজনের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে।
এর জের ধরে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় আজমপুর খেয়াঘাটে তিন যুবক মিলে আমবির মিয়াকে ধরে ফেলেন। এরপর দুইজন আমবির মিয়ার হাত পা ধরে রাখেন; আরেকজন রামদা দিয়ে কোপাতে থাকেন।
পরে তারা আহত আমবির মিয়াকে গাড়িতে তুলে সুনামগঞ্জ শহরের দিকে রওয়ানা দেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ কাটাখালি বাজার থেকে আমবিরকে উদ্ধার করে এবং হামলাকারী তুর্য আলম ও কমল আলমকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরায়।
“এ সময় গ্রেপ্তারদের স্বজনরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ হামলাকারীদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।”
পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় হাতকড়া উদ্ধার করলেও আসামিদের ধরা যায়নি; তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে এসপি এহসান জানান।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদকর্মী মো. আশিক মিয়া বলেন, “আমি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিলন মিয়া হামলাকারীদের অনেক অনুরোধ করেছি এভাবে যুবককে না মারার জন্য। কিন্তু তারা প্রকাশ্যে মানুষের সামনে রামদা দিয়ে কুপিয়ে তারপরে তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে শহরের দিকে রওয়ানা দিয়েছিল।”