কুড়িগ্রামে চিকিৎসকের সঙ্গে নিজের রোগ নিয়ে পরামর্শ করতে যাওয়ায় এক রোগীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালের দায়িত্বরত এক চিকিৎস।
বৃহস্পতিবার বিকালে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে তাকে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে মুক্ত করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
আহত মো.জাহাঙ্গীর আলম (৬১) থানাহাট ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়ার মৃত শমছ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। তিনি ২৮ মার্চ চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “ডায়ারিয়া হয়ে তিনদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি। আরোগ্য না হওয়ায় চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চিকিৎসক মাহমুদুল হাসানের রুমে যাই।
“সেখানে প্রবেশ করা মাত্র একটি ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মরত এক প্রতিনিধি আমার হাত থেকে কাগজটি কেড়ে নেন। তিনি কেন কাগজ কেড়ে নিলেন এমন কথা জানতে চাইলে চিকিৎসক মাহমুদুল ও আরিফ রুমের দরজা বন্ধ করে কিল-ঘুষি মারেন এবং দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দেন।”
ধস্তাধস্তিতে মাথা ফেটে যাওয়ার কথা স্বীকার করে ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, “রোগী আমার রুমে আসলে আগে থেকে বসে থাকা মেডিকেল রিপ্রেজেনটিটিভ আরিফের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা বাধে। এ সময় বাইরে থাকা রোগীর অভিভাবক ক্ষিপ্ত হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমি জরুরি মিটিংয়ে বাইরে ছিলাম। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, “হাসপাতালে বিবাদমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে; যা ঘটেছে তা অবাঞ্ছিত। তদন্তপূর্বক পরবর্তিতে বসে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”