মিছিল থেকে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় বিএনপি।
Published : 18 Feb 2025, 12:06 PM
ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙচুর, শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হরতালের সমর্থনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মশাল মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র ঘোষিত হরতাল ও মশাল মিছিলের খবর পেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা বিএনপি।
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ।
সোমবার রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের পাকুরতিয়া বাজার ও কুশলী ইউনিয়নের খালেক বাজার থেকে মশাল মিছিল বের করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। যার দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করছে। এ সময় নেতাকর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ ভাঙচুর, দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের পদত্যাগের দাবিও জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
একই রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতীর বাসস্ট্যান্ডের মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট ও ডুমুরিয়া ইউনিয়নের পাকুরতিয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন তারা।
পরে পৌর মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেটে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ সালাউদ্দিন ইসলাম, সদস্য সচিব মাহবুব হোসেন নাসির, যুবদলের আহবায়ক মুক্তার হোসেন, ছাত্রদলের আহবায়ক ঈসমাইল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জসিম উদ্দিন ও শ্রমিক দলের আহবায়ক কবিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্র ঘোষিত মশাল মিছিলকে প্রতিহত করা হবে। সেই সঙ্গে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সমাবেশ সফলভাবে শেষ করা হবে। আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি সফল হবে না।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি খোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু লোক সীমান্ত এলাকায় মশাল মিছিল করেছে বলে শুনেছি। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ সব সময় সজাগ আছে বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা।