জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন বলেন, “দুজন নিহতের কথা শুনেছি। তবে পুলিশ গুলি করেনি। পুলিশের গুলি করা নিষেধ ছিল।”
Published : 04 Aug 2024, 01:03 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ শহরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে দুইজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
রোববার শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় এই সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা করে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
নিহতদের দুইজনই পুরুষ। তাদের বয়স ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তবে তাদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টার দিকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট ও কৃষি ব্যাংক মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকে আন্দোলনকারীরা।
সে সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় বৃষ্টির মত হাতবোমা, বিস্ফোরণ হয়। এছাড়া গুলি, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে সুপার মার্কেট থেকে কৃষি ব্যাংক এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে হামলা করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় কাজে যাওয়ার পথে দুইজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন বলেন, “দুজন নিহতের কথা শুনেছি। তবে পুলিশ গুলি করেনি। পুলিশের গুলি করা নিষেধ ছিল।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, “পুলিশ ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করছে। পুলিশ কোনো গুলি চালায়নি।”
দুইজন নিহতের বিষয়ে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে হতাহতের সংখ্যা বলতে পারছি না।”