হ্রদে তিন মাস মাছ আহরণ, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ।
Published : 16 Apr 2025, 04:48 PM
কাপ্তাই হ্রদে ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ আহরণ, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
প্রতি বছরের মত এবারও কাপ্তাই হ্রদের মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
বুধবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি বিপণনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পাঠান মো. সাইদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিরা নূর, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস, মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল শুক্কুর, মাহফুজ আলম।
বৈঠকে জানানো হয়েছে, মাছ ধরা নিষিদ্ধের সময়ে নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যসহায়তা (চাল) দেওয়া হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৯৬০ সালের দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর উপর বাঁধ দেওয়া হয়। এ বাঁধের ফলে ৭২৫ বর্গকিলামিটার এলাকাজুড়ে বিশাল জলধার সৃষ্টি হয়। মানবসৃষ্ট এ হ্রদের কারণে রাঙামাটি জেলায় ৫৪ হাজার একর কৃষিজমি পানিতে ডুবে যায়।
এ হ্রদের ফলে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন করে বিপুল রাজস্ব আয় হয়। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকারের উপর নির্ভর করে ২৫ হাজারের বেশি জেলে জীবিকা নির্বাহ করছে।