সুজন জানায়, মেয়র পদে তিনজন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পথে ১৯২ জন পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন।
Published : 22 May 2023, 06:07 PM
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন করেছে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক–সুজন।
সুজনের তথ্য মতে, এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী আট মেয়র প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। আর ২৪৬ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৯২ জন মাধ্যমিক পাস করেননি।স্নাতকোত্তর রয়েছেন ২১ জন। সংরক্ষিত ৭৯ প্রতিদ্বন্দ্বী নারী কাউন্সিলরের মধ্যে ৪০ জন মাধ্যমিক পাশ করেননি। স্নাতকোত্তর রয়েছেন আট জন।
সোমবার সকালে গাজীপুর প্রেসক্লাবে সুজন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।
সেখানে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টি মনোনীত দলীয় প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত দলীয় প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহানুর ইসলাম রনি ও হারুন-অর রশিদ স্নাতকোত্তর করেছেন।
স্বতন্ত্র নারী মেয়র পদপ্রার্থী জায়েদা খাতুন নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন স্বশিক্ষিত এবং জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী রাজু আহমেদ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
মেয়র পদে তিনজন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পথে ১৯২ জন পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৭৯ জনের মধ্যে ৩৯ জন গৃহিণী বলে জানায় সুজন।
সংবাদ সম্মেলনে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, “নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা করা। নির্বাচন কমিশন এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করবে। অতীতেও নির্বাচনের ব্যাপারে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে।
তিনি বলেন, “কেউ প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছে, এমন ঘটনা আমরা দেখতে চাই না। নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নির্বাহী বিভাগকে কাজে লাগানোর জন্য। প্রয়োজনে তিনি নির্বাহী বিভাগের লোকদেরকে বাধ্য করতে পারেন।”
দিলীপ কুমার আরও বলেন, “সব দলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু তা পূরণ না হলেও যে সব দল ও প্রার্থীরা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা সকলেই যেন নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে সম সুযোগ বা সমআচরণ পান।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, “গাজীপুর সিটি নির্বাচনে একটা বড় রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হলেও গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কিছুটা ঝাঁকুনি খাবে।”
তিনি আরও বলেন, “একজন প্রার্থীর কী যোগ্যতা তার পুরোপুরি তথ্য একজন ভোটারের জানা উচিত। এক্ষেত্রে একজন ভোটার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে উপযুক্ততা নির্ণয় করতে পারেন। নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচিত ব্যক্তিকে অবশ্যই তার জবাবদিহিতা, যোগ্যতা, স্বচ্ছতা এবং জন অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হয়। সেসব বিষয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও ভোটারকে প্রার্থীর তথ্য জানতে হবে।”
সুজনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার শিশিরের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী তৌফিক জিল্লুর রহমান, গাজীপুর মহানগর কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম রাজীব, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন আহাম্মদ।