এবার পাসের হার ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছেন সাত হাজার ৯২২ জন।
Published : 15 Oct 2024, 03:13 PM
এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার কমলেও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। আর এবারও ছেলেদের তুলনায় সাফল্যে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
এ বছর কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পাসের হার ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছেন সাত হাজার ৯২২ জন।
গত বছর পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ আর জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ছিল পাঁচ হাজার ৬৫৫ জন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নিজামুল করিমের ঘোষণা করা ফলাফল থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
এ সময় বোর্ডের সচিব অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামানসহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক নিজামুল জানান, এবারে এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী- এই ছয় জেলার ৪৩৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ১২ হাজার ৩১২ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
এদের মধ্যে পাস করেছে ৭৯ হাজার ৯০৫ জন। পরীক্ষা চলাচলে বিভিন্ন কারণে ৫৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
সার্বিক বিষয়ে ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৬৪ হাজার ২৪৭ জন ছাত্রীর মধ্যে ৪৭ হাজার ৩৪৭ জন এবং ৪৮ হাজার ৬৫ জন ছাত্রের মধ্যে ৩২ হাজার ৫৫৮ জন পাস করেছে।
জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলে দুই হাজার ৯৬৮ জন। আর মেয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে চার হাজার ৯৫৪ জন।
শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতির কারণে এ বছর সাতটি বিষয়ে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিষয়গুলোর প্রাপ্ত ফলাফল এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের এইচএসসির ফলাফল নির্ণয় হয়েছে এবার।
এ বছর পরীক্ষার্থীরা ইংরেজিতে বেশি খারাপ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার পাসের হার কমে যাওয়ার পেছনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পাশাপাশি বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টিও রয়েছে।
অধ্যাপক নিজামুল আরও জানান, বোর্ডের মধ্যে এবার দশটি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে আর একজনও পাস করেনি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা চারটি। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, ফেনী ও চাঁদপুর জেলায়।