রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত সাজা কার্যকরের দাবি জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও নিহতের স্বজনরা।
Published : 16 Aug 2023, 11:24 PM
সুনামগঞ্জে আদালত চত্বরে ছুরিকাঘাতে হত্যার মামলায় এক জনের মৃত্যুদণ্ড ও চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খায়রুল কবির রোমেন জানান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফয়েজ আহমেদ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাল গ্রামের প্রয়াত মহিবুর রহমানের ছেলে।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন: একই গ্রামের আফরোজ মিয়ার ছেলে সাজিদ মিয়া, সেবুল মিয়া, ইসমাইল হোসেন বাদশার ছেলে এহসানুল করিম ও মৃত মহিবুর রহমারে ছেলে ইসরাইল আলী মারজান।
রায় ঘোষণার সময় ফয়েজ আহমেদ ও সেবুল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে সাজিদ জামিন পেয়ে পলাতক এবং এহসানুল ও ইসরাইল আলী হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক আছেন বলে জানান আইনজীবী খায়রুল কবির রোমেন।
মামলার নথির বরাতে তিনি জানান, জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলি ইউনিয়নের গলাখাল গ্রামের মিজানুর রহমান খোকন মিয়া ২০২২ সালের ২১ জুলাই একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। জমি নিয়ে বিরোধসহ এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে ওইদিন প্রকাশ্যে আদালত চত্বরে আসামিদের হাতে খুন হন খোকন মিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও জানান, ফয়েজের নেতৃত্বে ৪/৫ জনের একটি সশস্ত্র দল ওইদিন খোকন মিয়ার ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় ফয়েজ তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে খোকনের পেটের ডান পাশে বারবার আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে খোকন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন স্বজনসহ আদালত প্রাঙ্গণে থাকা লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে খোকন মারা যান।
সে সময় বিষয়টি আলোচনার জন্ম দেয়। দিবালোকে আদালত পাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওঠে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়।
এ ঘটনায় মামলার পর দ্রুত সময়ে তদন্ত শেষে করে অপরাধীদের আইনের আওয়তায় নিয়ে আসে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও নিহতের স্বজনরা।
তারা পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত সাজা কার্যকরের দাবি জানান।