দাফনের প্রায় ছয় মাস পর নিহতদের শতভাগ পরিচয় শনাক্ত ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তে লাশগুলো উত্তোলন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 01 Feb 2025, 07:24 PM
ঢাকার সাভার উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহতদের মধ্যে চারজনের মৃতদেহ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
দাফনের প্রায় ছয় মাস পর শনিবার বেলা ১১টার থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার আশুলিয়ার চারালপাড়া, পবনারটেক ও বগাবাড়ী আমবাগান এলাকা থেকে লাশগুলো উত্তোলন করা হয় বলে জানান আশুলিয়া থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিক।
লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের শতভাগ পরিচয় শনাক্ত ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে মৃতদেহগুলো উত্তোলন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি নুরে আলম বলেন, সকাল ১১টার দিকে আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল চারালপাড়া এলাকার একটি কবরস্থান থেকে প্রথমে জাহিদুল ইসলাম সাগরের লাশ উত্তোলন করা হয়। দুপুর ১টার দিকে ভাদাইল পবনারটেক কবরস্থান থেকে আশরাফুল ইসলামের লাশ উত্তোলন করা হয়।
পরে দুপুর আড়াইটার দিকে উত্তর গাজীরচট এলাকার আমবাগান কবরস্থান থেকে আবুল হোসেন এবং অজ্ঞাতপরিচয় একজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয় বলে জানান তিনি।
লাশ উত্তোলনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তার।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। লাশ উত্তোলনের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ সময় অনেকের স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
ওসি নুরে আলম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আশুলিয়াতে গুলিতে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। এদের মধ্যে অনেকের স্বজন থানা ও আদালতে হত্যা মামলা করেছেন।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও নিহতদের পরিচয় শনাক্তে আদালতের নির্দেশে নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে লাশগুলো কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।