এসপি জানান, আজিজুল তার স্ত্রী ও সন্তানকে ওই হোটেল কক্ষে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
Published : 02 Jun 2024, 03:20 PM
বগুড়া শহরে একটি আবাসিক হোটেল থেকে মা এবং শিশু ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; এ সময় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে শহরের বনানী এলাকার ‘শুভেচ্ছা’ আবাসিক হোটেলে লাশ দুটি পাওয়া যায় বলে বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান।
নিহতরা হলেন- বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আজিজুল হকের স্ত্রী আশা মনি এবং তার ১১ মাসের ছেলে আবদুল্লাহ হেল রাফি।
পুলিশ জানায়, আশা মনির স্বামী আজিজুল হককে আটক করা হয়েছে। তিনি সেনা সদস্য হিসেবে চট্টগ্রামে কর্মরত রয়েছেন।
হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাতে পুলিশ সুপার সুদীপ বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তমা ও মিরাজ পরিচয়ে হোটেলে ওঠেন আশা মনি ও তার স্বামী আজিজুল। বাড়ি উল্লেখ করা হয় রংপুরের পীরগঞ্জ।
তিনি বলেন, “প্রায় তিন বছর আগে আজিজুলের সঙ্গে বিয়ে হয় আশা মনির। তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তান হওয়ার পর থেকেই আশা তার বাবার বাড়ি বগুড়ার নারুলীতে থাকতেন। এর মধ্যে দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসেন আজিজুল।
“ছুটি শেষে শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা তার। কিন্তু এর মধ্যে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বনানীর ওই হোটেলে ওঠেন তারা।”
এসপি সুদীপ বলেন, “আজিজুল একজন সেনা সদস্য। তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানকে ওই হোটেল কক্ষে নিয়ে শনিবার রাতে কোনো এক সময় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। এই ঘটনায় মামলা হবে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।”
হোটেলের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম বলেন, “সকালে আজিজুল হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান, তিনি হোটেলের রুম ছেড়ে দিবেন। এ সময় রুম বুঝিয়ে চাইলে তিনি তালবাহানা শুরু করেন। পরে ওই রুমে মা-ছেলের লাশ পাওয়া যায়। পরে তাকে আটক করে রাখা হয়।”
আশা মনির বাবা আশাদুল ইসলাম বলেন, “আমার মেয়েকে ও নাতিকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। আজিজুলের ফাঁসি চাই।”