ইশরাকসহ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর নামে গৌরনদীতে মামলা

গৌরনদী উপজেলার মাহিলারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রাঢ়ী বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মামলাটি করেন।

বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বরিশালের গৌরনদী থানায় মামলা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় গৌরনদী উপজেলার মাহিলারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রাঢ়ী বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন জানান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইশরাক হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া গৌরনদী উপজেলার বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান মিন্টু, সজল সরকার ও জাফরসহ ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সকালে বরিশালের বিভাগীয় গণসমাবেশে যাওয়ার পথে গৌরনদীর মাহিলারা বাজার এলাকায় বিএনপি নেতা ইশরাকের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ করা হয়।

বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, তাদের কয়েকটি গাড়িতে হামলা করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

তবে মাহিলারা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শহীদ সরদার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন।  

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকাল ৬টার দিকে তারা ১০ থেকে ১২ জন মাহিলারা বাজারের সামনের রাস্তায় অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে ৭০ থেকে ৭৫টি গাড়ির একটি বহর এসে বাজারের সামনের মহাসড়কে থামে। তখন গাড়ি থেকে নেমে নেতাকর্মীরা বাজারের মর্ডান ক্লাবে হামলা ও ভাঙচুর করে। তারা ক্লাবের মধ্যে থাকা টিভি, চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করেছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর ছবি ছিঁড়ে ফেলে।

শহীদ আরও অভিযোগ করেন, “হামলাকারীরা সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। আমার মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছে। হামলাকারীরা মাহিলারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিলাস কবিরাজকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সঙ্গীত সিকদারসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন।”

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহমানবধিকার বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা তুজ জোহরা মিতু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলাকারীরা বহরের আটটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।”

এদিকে হামলার শিকার হয়ে উল্টো মামলায় আসামি হয়েছেন বলে অভিযোগ ইশরাক হোসেনের।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটি একটি বানোয়াট ও আজগুবি মামলা। আমি জনসভায় যোগ দিতে বরিশাল যাচ্ছিলাম। আমার বহরের বেশকিছু গাড়ি বিচ্ছিন্ন হয়ে পেছনে পড়ে এবং সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়। আমার নেতাকর্মীদের তারা রক্তাক্ত করে; গাড়ি ভাংচুর করে। এখন উল্টো মামলাও দিয়েছে। ”

হামলার আগে তার গাড়ি ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় বলে তার দাবি।

আরও পড়ুন: