নিষেধাজ্ঞা শেষে ৪ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে ইলিশ আহরণে নামবেন জেলেরা।
Published : 02 Nov 2024, 09:27 PM
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ শিকার করায় ২১ দিনে ৩৭২ জেলেকে আটক করেছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স।
অভিযানে ১৭২ জেলেকে নৌ পুলিশ এবং ২০০ জেলেকে টাস্কফোর্স আটক করে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার রুমা।
শনিবার মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৩ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ৬০২টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আটক করা হয় ২০০ জেলেকে।
পরে টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী হাকিমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটকদের মধ্যে ১৫৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৪২ জেলেকে দুই লাখ ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার সময় ১৮টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ৩৩৪টি মাছঘাট, ১৮৯২টি মৎস্য আড়ত ও ৬৪১টি মাছ বাজার পরিদর্শন করা হয়। জব্দ করা হয় দুই দশমিক ৭৩১ টন ইলিশ এবং সাড়ে ১৭ লাখ মিটার কারেন্টজাল। এসব ঘটনায় মামলা হয় ২৩৯টি।
চাঁদপুর নৌ থানার ওসি এইচ এম ইকবাল বলেন, টাস্কফোর্সের সহযোগিতায় নৌ পুলিশ ২১ দিনে ১৭২ জেলে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে ১১৯ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৩৪ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়।
এ ছাড়া ১৯ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, অভিযানে জব্দ হয় ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্টজাল, ছয় হাজার ৩২৬ কেজি ইলিশ ও ৪৯টি মাছ ধরার নৌকা। এর মধ্যে সাতটি নৌকা থানা হেফাজতে, ২৭টি নৌকা ঘটনাস্থলে অকার্যকর এবং ১৫টি মৎস্য বিভাগের হেফাজতে দেওয়া হয়।
১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে সরকার।
নিষেধাজ্ঞা শেষে ৪ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে আবারও ইলিশ আহরণে নামবেন চাঁদপুরের অর্ধলক্ষাধিক জেলে।