বিলের কাগজ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে গেলে কর্মকর্তারা সমাধান না দিয়ে উল্টো খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ চালকল মালিকের।
Published : 02 Oct 2024, 08:11 PM
নাটোর সদর উপজেলার একটি ছোট চালকলের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে এক কোটি ৫২ লাখ টাকা বেশি। ভুতুড়ে এমন বিলে হতবাক চালকল মালিক ও এলাকাবাসী।
আলোচিত এই চালকলটির মালিক উপজেলার লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের আমিরগঞ্জের আব্দুর রহিমের ছেলে মো. জালাল উদ্দিন।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ থেকে চালকল হিসেবে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করা হলেও বর্তমানে ধান-চাল মাড়াই করা হয় না। সেখানে এখন ভেষজ পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ (গুড়া) করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
জালাল উদ্দিন বলেন, “গত এক বছরের হিসাবে গড়ে প্রতিমাসে মিলে বিদ্যুৎ বিল আসে ১৫ হাজার টাকা। বিভিন্ন ব্যস্ততায় আমি বেশ কিছু দিন প্রতিষ্ঠানে আসতে পারি নাই।
“সোমবার মিলে গিয়ে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখে মাথা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। বিলে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এক কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৩১১ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।”
বিলের কাগজ নিয়ে ফুলবাগানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে গিয়ে বিলিং সহকারীদের অভিযোগ জানানো হলে, তারা কোনো সমাধান না দিয়ে উল্টো খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ জালাল উদ্দিনের।
স্থানীয় রাসেল আহমেদ ও রুবেল আলীসহ একাধিক গ্রাহকের অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই এমন ভুতুড়ে বিলের কারণে তাদের বিপদে পড়তে হয়। এসব সমাধানে অনেক দৌড়ঝাঁপও করতে হয়।
এসব বিষয় গুরুত্ব সহকারে দেখার আহ্বান জানান নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকরা।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কারিগরি) মোহাম্মাদ আবু নাসের বলেন, এটা বড় ধরনের একটি ভুল। বিলটি সংশোধন করে দ্রুত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আর যারা এমন ভুল কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।