পিরোজপুরের কাউখালীতে ধর্ষণ মামলার আসামির ‘হুমকিতে’ এক ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার কাউখালী থানায় মামলার পর থেকে আসামি ও তার পরিবারের লোকজন নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন।
আসামি রিশাদ হোসেন (২০) কাউখালী উপজেলার বাসিন্দা।
স্কুলছাত্রীর মামা বলেন, “ঘটনাটি জানার পর আমরা রিশাদের বাবাকে জানাই। তিনি আমাদের মামলা না করার জন্য ভয়-ভীতি দেখান। রিশাদ হোসেনের চাচাতো ভাই মোবাইলে আমাকে হুমকি দেন।
“এরপর আমার মা বাদী হয়ে কাউখালী থানায় রিশাদ হোসেন নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর রিশাদ আমাকে ফোন করে দেখে নেওয়ার কথা বলেন। ভয়ে ও লোকলজ্জায় আমার ভাগনি বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।”
মামলার বাদী বলেন, “রিশাদ আমার ছেলের বন্ধু। তার আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে রিশাদ আমার ছেলের সঙ্গে আমাদের বাড়িতে থাকে। ভোরে আমার ছেলে ও আমি কাজে চলে গেলে রিশাদ আমার নাতনিকে ধর্ষণের পর কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখায়।
“এর কয়েকদিন পর রিশাদ আবার তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন সে বাধা দেয় এবং বিষয়টি আমার ছেলেকে জানায়। ঘটনার পর আমার নাতনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছে না। চুপচাপ বসে থাকে।”
ঘটনার পর থেকে রিশাদ হোসেন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। এ ছাড়া তার পরিবারের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কাউখালী থানার ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, “এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার পিরোজপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ওই ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।”
ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হুমকির ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।