বরিশাল সাইবার ট্রাইবুনালে করা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার ছেলে যুবলীগ নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
Published : 21 Aug 2024, 10:40 PM
পদত্যাগের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপের ঘটনায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার ছেলের বিরুদ্ধে বরিশাল সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা হয়েছে।
তবে মামলার আবেদনে ৩১ জনকে আসামি করা হলেও ২৯ জনের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য-প্রমাণ না দেওয়ায় তাদের অব্যহতি দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
বুধবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা সদর থানার ওসিকে ৯ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে জানান আদালতের বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হাসান।
এর আগে মঙ্গলবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটির আবেদন করেন বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক।
আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির ও তার ছেলে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আদনান অনিক। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর কবীর চাঁদাবাজির দুটি মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা আছে কি-না সেই বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বরগুনা সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করার পর ১২ অগাস্ট রাত সাড়ে ৮টায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর তার বরগুনার বাসায় নেতাদের নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে তিন মিনিট কথা বলেন।
যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও অন্য আসামিরাও তাদের মোবাইল ফোন দিয়ে ভাইরাল করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার উদ্দেশে সাধারণ জনগণের মধ্যে ভয়ভীতির সঞ্চার করতে এমন কাজ করেছেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন আসামিরা বিভিন্নভাবে জমি দখল ও অপকর্মের জড়িত ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বরগুনা থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, “আদালতের কপি এখনো হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে।“
আরও পড়ুন:
'বিশৃঙ্খলার ষড়যন্ত্র': বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার