“মঙ্গলবার ভোরে ছোটভাই রাইসুল হক কবর জিয়ারত করতে গেলে দেখতে পায় মায়ের কবর খোঁড়া।”
Published : 25 Feb 2025, 07:22 PM
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় একটি কবরস্থান থেকে দুজনের লাশ চুরির ঘটনা ঘটছে। পরে পাশের ভুট্টাক্ষেতে পাওয়া গেছে হাড়ের দুটি টুকরা।
সোমবার রাতের কোনো এক সময় উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর-নুরপুর কবরস্থান থেকে লাশ চুরির এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলাইমান শেখ।
কবর দুইটি একই ইউনিয়নের নগর সাঁওতা বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের স্ত্রী শাহারা খাতুনের ও একই গ্রামের তপন বিশ্বাসের ছেলে রাতুল বিশ্বাসের। লাশ দুটি সম্পর্কে দাদী-নাতীর বলে পারিবারের সদস্যরা জানান।
মঙ্গলবার ভোরে ফজরের নামাজ শেষে কবর জিয়ারত করতে গেলে স্বজনদের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্বজন ও এলাকাবাসী কবরস্থানে ছুটে আসে।
শাহারা খাতুনের বড় ছেলে মনজুরুল হক বলেন, “আমার মা গৃহিণী ছিলেন। বাধ্যর্কজনিত কারণে ২০২৩ সালের ২১ জুন তিনি মারা যান। পরে পাহাড়পুর-নুরপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
“এর মধ্যে ৪০ দিন আগে আমার বাবা সাত্তার বিশ্বাসও মারা গেছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই পরিবারের লোকজন নিয়মিত কবর জিয়ারত করেন।”
মনজুরুল হক আরও বলেন, “মঙ্গলবার ভোরে ছোটভাই রাইসুল হক কবর জিয়ারত করতে গেলে দেখতে পায় মায়ের কবর খোঁড়া। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক আমরা এখানে ছুটে এসে দেখতে পাই মা সাহারা খাতুন ও পাশে ভাতিজা রাতুলের কবর দুটি খোঁড়া।”
তিনি আরও জানান, পরে আশপাশে খুঁজতে গিয়ে কবরস্থান থেকে একটু দূরে ভুট্টাক্ষেতে দুটো হাড় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তার পাশেই একটি পলিথিনে ট্রাউজার ও পানির বোতল পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
রাতুলের মা সোনিয়া খাতুন বলেন, “রাতুল প্রতিবন্ধী ছিল। দুই বছর আগে আমার ছেলেটি মারা যায়। তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর।
“সকালে লোকজনের কাছ থেকে শুনতে পেয়ে কবরস্থানে ছুটে আসি। এসে দেখি আমার ছেলের কবরে লাশ নেই।”
ওসি মো. সোলাইমান শেখ বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আসলে ঘটনা কী ঘটেছে সে বিষয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।
“তবে খোয়া যাওয়া ওই লাশের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।”