ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগের এই নেতা।
Published : 07 Feb 2025, 11:01 PM
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। যিনি এলাকায় 'কিশোর গ্যাং' প্রধান হিসেবে পরিচিত।
এ ছাড়া ছাত্র আন্দোলনের সময় এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলা বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান রামগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাশার।
গ্রেপ্তার সাকিব হোসেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আটিয়াতলি এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির সেলিম ভূঁইয়ার ছেলে এবং সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহন্ত বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ অগাস্ট লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ঘটে। এতে চার শিক্ষার্থী নিহত ও অনেকেই আহত হন।
এ ঘটনায় করা আলাদা দুটি হত্যা মামলায় সাকিব এজাহারভুক্ত আসামি। রামগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, দুপুরে সাকিবকে ছাত্র-জনতা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। সাকিব ছিল ‘কিশোর গ্যাং’ প্রধান। ছোট-বড় সবাইকে তাকে ‘সাকিব ভাই’ বলে সম্বোধন করতে হত। অনেকে তাকে রেন্ডম সাকিব নামেও ডাকত। কারণে অকারণে তার মারধরের শিকার হয়েছে অনেকেই।
তার নেতৃত্বে জেলা শহরের ঝুমুর, সদর উপজেলার জকসিন ও জুগিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন করা হয়েছিল। ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
ওসি আবুল বাশার বলেন, সাকিব নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ও হত্যা মামলার আসামি। গ্রেপ্তারের পর তাকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।