উপকূলীয় ১০টি জেলার ১৫ লাখ বাসিন্দাদের রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Published : 24 Oct 2023, 06:27 PM
প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হামুন; বিপদ এড়াতে সমুদ্র ও নদী বন্দরগুলোতে সতর্কতা সংকেত বাড়িয়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতসহ জরুরি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে সরকার।
ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে এ ঘূর্ণিবায়ুর চক্র চলে এসেছে বাংলাদেশ উপকূলের আড়াইশ কিলোমিটারের মধ্যে। এ অবস্থায় সমুদ্র বন্দরে পণ্য ওঠানামা ও সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
উপকূলীয় ১০টি জেলার ১৫ লাখ বাসিন্দাদের রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে এসব এলাকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। মাঠপ্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন। প্রতি জেলায় ২০ লাখ টাকা, ৫০ মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতেই এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে। সে কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং পায়রা ও মোংলা ও সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ অবস্থায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিচ্ছে উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রশাসনের কর্মকর্তারাও। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চট্টগ্রাম
ঘূর্ণিঝড় উপকূলের কাছাকাছি চলে আসায় চট্টগ্রাম বন্দর পণ্য ওঠানামা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের উপস্থিতিতে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বন্দরের জেটিতে থাকা জাহাজগুলোকে বর্হিনোঙ্গরে চলে যেতে বলা হয়েছে। সকালে জোয়ার চলার সময় চারটি জাহাজ বন্দরের জেটি ছেড়ে গেছে। এরপর ভাটা শুরু হওয়ায় বাকি জাহাজগুলো জেটিতেই অবস্থান করছে।
বরিশাল
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ৩ হাজার ৩৭৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেইসাথে ৬ হাজার ২৪৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ হাজার ৬৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়ের জন্য খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিভাগে ৩ হাজার ৩৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৬১০ জন মানুষ এবং ১ লাখ ৫২ হাজার ২২৭টি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া বিভাগের ৫২টি মুজিব কেল্লাও প্রস্তুত রয়েছে।
ত্রাণের জন্য ১ হাজার ৩৮০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২৪ লাখ ৩ হাজার টাকা, ৯৬ বান্ডেল টিন এবং ২ হাজার কম্বল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট ও শুকনো খাবারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।
হামুন এগিয়ে আসায় সতর্কতার অংশ হিসেবে বরিশাল বিভাগের নদ-নদীতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা জারি থাকবে।
পটুয়াখালী
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে পটুয়াখালীতে আকাশ মেঘলা ও মৃদু বাতাস বইছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। ভোর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বৃষ্টি কমে গেছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৭০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৩৫টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
পটুয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১০২টি, দুমকীতে ২৭টি, মির্জাগঞ্জে ৪৩টি, বাউফলে ১৪০টি, দশমিনায় ৬৩টি, গলাচিপায় ১১৮টি, কলাপাড়ায় ১৫৬টি, এবং রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৫৪টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে।
প্রস্তুত রয়েছে ৩৫টি মুজিব কিল্লা; তার মধ্যে কলাপাড়ায় ১৯টি, রাঙ্গাবালী ৯টি, দশমিনায় ৪টি ও গলাচিপায় ৩টি। এসব সাইক্লোন শেল্টারে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ মানুষ ও প্রায় ১ লাখ গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। জেলায় ৪৩৫টি ইউনিটের ২০ জন করে ৮ হাজার ৭০০ জন সিপিপি সদস্য ও ২ শতাধিক রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা রয়েছেন। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ৬০০ টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার
ঘুর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে কক্সবাজারে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তাল সাগরে না নামতে মাইকিং করা হচ্ছে। তবে তাতে কর্ণপাত করছেন না পর্যটকদের অনেকেই।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস বলছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৭ মিলিমিটার।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সভা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, সভায় নিচু এলাকার জানমাল রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ, পেকুয়া, চকরিয়া, উখিয়া, কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজারের নয়টি উপজেলায় ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেন্টমার্টিনে অবস্থানরত আড়াই শতাধিক পর্যটকদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
ভোলা
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভোলায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জেলায় ৭৪৩টি সাইক্লোন সেন্টার ও ১২টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপি সদস্য ও প্রায় ২ হাজার রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কমিটির সভা শেষে জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার জন্য সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টের পাশাপাশি কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলার সাত উপজেলায় আটটি তথ্য সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মেডিকেল টিম খোলা হচ্ছে ও পর্যাপ্ত ত্রাণ ও শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছে।
পিরোজপুর
পিরোজপুরে ৪০৭ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাতটি উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, টিন, ৪১২ মেট্রিক টন চাল ও ৪ হাজার কম্বল রয়েছে। ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুতর রয়েছেন ১ হাজার ৭০০ সিপিপি সদস্য ও সাড়ে তিনশ স্কাউট সদস্য।
লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় মোট ২৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লাখের বেশি মানুষের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় ৬৪টি মেডিকেল টিম, ৩ হাজার ২৮০ জন সিপিপি সদস্য ও সাড়ে ৪০০ রেডক্রিসেন্ট সদস্য রয়েছেন। পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রস্তুত রয়েছে। স্বপ্ন যাত্রা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রস্তুত রয়েছে।
ফেনী
ঘূর্নিঝড় ‘হামুন’র ক্ষতি এড়াতে ফেনীর সোনাগাজীর ৪৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্টরা। আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও নগদ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান।
ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মঙ্গলবার বিকালে জেলার উপকূলীয় সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা হয়েছে।
ঝালকাঠি
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ৫৯ সাইক্লোন সেল্টার, ৩৭টি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রেখেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের জরুরি সভা হয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম জানান, জরুরি ত্রাণের জন্য নগদ ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ৩৫০ মেট্রিক টন চাল মওজুদ আছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও স্বেচ্ছাসেবক টিমও প্রস্তুত রয়েছে।
বরগুনা
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বরগুনার ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ও তিনটি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায়। জেলার ৪২টি ইউনিয়নে ৫০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম।
নৌচলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বা সিপিপির ৯ হাজার ৬১৫ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। এছাড়া ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪৩০ মেট্রিক টন চাল, টিন, ২ হাজার কম্বল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলার ছয় উপজেলায় বেড়িবাঁধ রয়েছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রকিব বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এসব বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের শঙ্কা রয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ও সিনথেটিক ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাগেরহাট
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাগেরহাটে ৪৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, এসব কেন্দ্রে ২ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টের ২ হাজারের বেশি সদস্য তৎপর রয়েছেন। শুকনো খাবারের পাশাপাশি ৯ লাখ টাকা ও ৬৫০ মেট্রিকটন চাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ঝূঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর জনগণকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা
ঘুর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতি সভা হয়। জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির জানান, জেলার ২ উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরে ২৭০টি আশ্রয় কেন্দ্র ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে দুর্যোগকালীন সেবা দিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া ঝূকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারে পর্যাপ্ত জিওব্যাগ রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে করা হয়েছে পর্যাপ্ত ত্রাণ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা। উপকূলের মানুষের নিরাপদে চলার জন্য ট্রলার ও নৌকাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
খুলনা
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় খুলনায় প্রস্তুত রয়েছে ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার। এসব সাইক্লোন শেল্টারে ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। প্রস্তত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার ও ওষুধ। প্রস্তত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড।
তবে বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তেমন কোনো প্রভাব মোংলা বন্দরে পড়েনি। বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরের জেটিতে কোনো জাহাজ নেই। অ্যাঙ্করেজ এলাকায় ৬টি জাহাজ রয়েছে। লাইটার জাহাজগুলোকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে।