এই নৌপথগুলোয় প্রায় ৯ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তারা।
Published : 24 Jan 2025, 12:57 PM
ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়েছে তিন নৌপথের ফেরি চলাচল।
এর মধ্যে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও আরিচার সঙ্গে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে এবং বেলা পৌনে ১২টা থেকে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে এই নৌপথগুলোয় প্রায় ৯ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ফেরিঘাটের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তারা।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি হওয়ায় নৌপথে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় দুর্ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
সে সময় দুই নৌপথে দুইটি করে মোট চারটি ফেরি মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা হয়।
রাজবাড়ীতে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত দেড়টায় ঘন কুয়াশায় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। সে সময় দুর্ঘটনা এড়াতে দৌলতদিয়া পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শরীয়তপুরে আইডব্লিউটিসি নরসিংহপুর ফেরিঘাটের সহ-ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে নদী ও আশপাশের এলাকাজুড়ে প্রচণ্ড কুয়াশার দেখা দেয়। পরে নদীপথে দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ২টা ৩০ মিনিট থেকে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তবে সেসময় কোনো ফেরি মাঝ নদীতে আটকা পড়েনি।
এদিকে দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নৌপথগুলির সংলগ্ন সব ঘাট এলাকায় বেশকিছু যানবাহন আটকা পড়ে। এরমধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
তীব্র শীতের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদী পারাপারের অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তির শিকার হন চালক ও যাত্রীরা।
পরে কুয়াশা কেটে শুক্রবার ফেরি চলাচল শুরু হলে অপেক্ষায় থাকা যানবাহনগুলোকে সিরিয়াল অনুযায়ী নদী পার করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ১০টি ফেরি ও আরিচা-কাজিরহাট রুটে ছয়টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।