Published : 06 Jan 2024, 01:04 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সাতক্ষীরা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শুক্রবার রাতে কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওহিদ মুরাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের আদেশে শুক্রবার ইসির আইন শাখার উপসচিব মো. আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত মামলার নির্দেশনাটি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাতক্ষীরা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন কলারোয়ার বাটরায় বৈঠক করেন। এতে তিনি তার নেতাকর্মীদের বলেন, ‘নির্বাচনের দিন আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে না। তারা যদি কেন্দ্রে যায়, তাহলে একটা গন্ডগোল বাঁধবে। আমার কর্মীরা যদি দেখে, তারা নৌকাতে ভোট দেয়নি, তাহলে আরেকটি ঝামেলা হবে। এরচেয়ে তারা কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকবে, আমরা নির্বাচিত হলে, কথা দিচ্ছি, তাদের কোনো ক্ষতি হবে না, এটাই হল বড় ম্যাসেজ’।”
কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওহিদ মুরাদ জানান, একটি বৈঠকে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বক্তব্য দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দোলনা প্রতীকের প্রার্থী সরদার মুজিব সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ ও বিচারিক হাকিম শহিদুল ইসলামের কাছে অভিযোগ দেন। অভিযোগ যাচাই করে বিচারিক হাকিম গত ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিবেদন পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এ মামলার নির্দেশ দেন।
ওহিদ মুরাদ আরও বলেন, ইসির নির্দেশনা পাওয়ামাত্র শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কলারোয়া থানায় মামলাটি দায়ের করি।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, “অফিসে একটি ঘরোয়া পরিবেশে ভোটার ও দলীয় কর্মীদের বোঝানো হচ্ছিল যে, দলবেঁধে ৮/১০ জন একসঙ্গে ভোট দিতে যাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু বিষয়টিতে রংচং মেখে কিছু লোক ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে আমি এর লিখিত জবাবও দিয়েছি।”
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।”