জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু ফেইসবুক লাইভে এসে দলের তিন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
Published : 04 Aug 2024, 07:28 PM
বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারীদের সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে সিরাজগঞ্জের শহরের সবগুলো পথ দখল নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে তিন জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। রোববার সকাল ১০টার পর থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু ফেইসবুক লাইভে এসে তার দলের তিনজন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
নিহতরা হলেন, শহরের মাসুমপুর দক্ষিণপাড়ার মাজেদ খানের ছেলে ও জেলা যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক রঞ্জু খান (৩৯) ও যুবদল কর্মী শহরের গয়লা মহল্লার মনছের আলীর ছেলে আব্দুল লতিফ (২৫) ও একই গ্রামের গঞ্জের আলীর ছেলে ও জেলা ছাত্রদলের সদস্য সুমন সেখ (২৫)।
বিক্ষোভকারীরা সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বাসভবন, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিমল কুমার দাসের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা, বেলকুচি উপজেলা, শাহজাদপুর উপজেলা ও উল্লাপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অবস্থিত ত্রাণ অফিসের গোডাউন ভাঙচুর করে মালামাল-লুটপাট করা হয়েছে। ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে কোর্ট চত্বর, সদর এসিল্যান্ড অফিসে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা, এনায়েতপুর থানা ও সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশনের পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শাহজাদপুর পৌরসভা ভবন এবং যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ শহরের সয়াধানগড়া এলাকায় অবস্থিত দুইটি তেলের পাম্প ও একটি ঔষধ ফ্যাক্টরীসহ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করেছে আন্দোলনকারীরা।
এছাড়াও শহরের বাজার স্টেশন, রেলগেট, মাড়োয়ারী পট্টি, ইলিয়ট ব্রিজ, এসএস রোড এলাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিকে, দুপুরে যুবদল নেতা রঞ্জুর লাশ নিজ বাড়িতে পৌঁছালে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কল্যাণীতে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক কল্পনা ইসলাম ও যুবলীগ নেতা ফরিদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট রতন কুমার জানান, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ১৪ জন ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন।