এছাড়া গ্রামবাসী এক ব্যক্তির দোকান ও একটি মাজারে ভাঙচুর চালায়।
Published : 13 Apr 2025, 09:45 PM
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় সালিশের লোকজনের হাতে বাবা-ছেলে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার দুপুরে উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মো. রোকনুজ্জামান জানান।
নিহত আব্দুল গফুর (৪০) ও ছেলে মেহেদী হাসান (১৫) ওই গ্রামের বাসিন্দা।
বাবা-ছেলেকে হত্যার পর রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে গিয়ে হারুন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি, দোকান ও একটি মাজার ভাঙচুর করে শত শত মানুষ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলম। ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার আতংকে গ্রামটি প্রায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আব্দুল গফুর ও তার ছেলে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও একাধিক চুরি অভিযোগ আছে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে গ্রামে সালিশ বসার কথা ছিল।
রোববার দুপুরে গফুরের বাড়ির কাছে নাওগাঁও হোসেনিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সামনে গ্রামের শত শত মানুষ সালিশ বসিয়ে গফুর ও ছেলে মেহেদীকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু বাবা-ছেলে সালিশে না গিয়ে ঘরেই বসে থাকেন।
এলাকাবাসীর দাবি, সালিশের লোকজন খুঁজতে তাদের বাড়ি গেলে দা নিয়ে ঘর থেকে বের হন গফুর। এতে বিক্ষুব্ধ লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আব্দুল গফুর ও তার ছেলে মেহেদী হাসানকে ঘটনাস্থলেই মেরে ফেলেন।
এরপর শত শত মানুষ রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে গিয়ে হারুন অর রশিদ নামে একজনের বাসা, দোকান ঘর ও একটি মাজার ভাঙচুর করেন।
নিহত আব্দুল গফুরের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, “স্থানীয় হাবিবুর রহমানসহ মানুষ সালিশের নামে আমার স্বামী ও ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। যত অপরাধই করে থাকুন, দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমে বিচার হতো। কেন তারা আমার স্বামী-সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করল?”
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মো. রোকনুজ্জামান বলেন, “এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।”