Published : 06 Jun 2024, 12:21 AM
রাজবাড়ী-ঢাকা রেলপথে চলাচলকারী ‘চন্দনা কমিউটার’ ট্রেনটি ফরিদপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবিতে রাতে রেল আটকে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় ট্রেনটি ফরিদপুর স্টেশন হয়ে যাওয়ার পথে বিক্ষোভকারীরা ট্রেনের গতিরোধ করে প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রাখে বলে জানান ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি হাসানুজ্জামান।
এলাকাবাসী জানায়, রাজবাড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত ‘চন্দনা কমিউটার’ নামে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হয়। ট্রেনের সময়সূচিতে ফরিদপুরে যাত্রাবিরতি না রাখায় ক্ষুব্ধ হন ফরিদপুরের যাত্রীরা। যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন করা হলে আশ্বাস দেন রেলমন্ত্রী।
সে অনুযায়ী ১ জুন থেকে ট্রেনটি ফরিদপুরে থামার কথা ছিল। কিন্তু ফরিদপুর স্টেশনে না থামায় বুধবার রাতে ট্রেন আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।
রেলমন্ত্রী ও রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরও ট্রেনটি ফরিদপুরে না থামায় এলাকাবাসীর ডাকা বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
বিক্ষোভকারী জয়ান্ত ভট্টাচার্য জানান, রাজবাড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত এই ট্রেনে যাত্রী হিসেবে ফরিদপুর থেকেও অনেকে ভ্রমণ করবেন। এতে রেল বিভাগের আয়ও বাড়বে। কিন্তু ট্রেনটি না থামায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে দাবি তার।
প্রায় ৫০ মিনিট আটকে থাকার পর ট্রেনে থাকা যাত্রীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে পুলিশ ও রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় রেললাইন থেকে সরে যান বিক্ষোভকারীরা। পরে ট্রেনটি রাজবাড়ীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
ফরিদপুরের স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন জানান, অবরোধের বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। শিগগিরি ফরিদপুরবাসীর দাবি বাস্তবায়ন হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
গত ৫ মে থেকে বাণিজ্যিকভাবে রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার সঙ্গে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে পথে ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি না থাকায় সেখানকার যাত্রীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়।
প্রথমদিন মানববন্ধন করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রেলমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান ফরিদপুরবাসী। যাত্রাবিরতির দাবিতে দুই দফা আন্দোলন করেন তারা। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
আরও পড়ুন: