এ ঘটনায় প্রায় ১৫ মিনিট সমাবেশের স্বাভাবিক কাজ বন্ধ ছিল।
Published : 25 Feb 2025, 09:40 PM
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বিতণ্ডা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সমাবেশের অদূরে হাতবোমা বিস্ফোরণ হয়।
মঙ্গলবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর পার্কে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশে হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশে একটি পক্ষের নেতাদের উপস্থিত না থাকাকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম টিপু এবং সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম চাইনিজের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় তাদের সমর্থকরা মাঠেও উত্তেজিত হয়ে হট্টগোল শুরু করেন।
একে অপরের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারেন। এ সময় আতঙ্কে অনেকেই ছোটাছুটি শুরু করেন। তখন নেতারা মঞ্চ থেকে উত্তেজিত কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় প্রায় ১৫ মিনিট সমাবেশের স্বাভাবিক কাজ বন্ধ ছিল।
এ সময় সমাবেশস্থলের অদূরে বড় ইন্দারা মোড় এলাকায় পরপর দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দীন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছি, সারাজীবন সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করেছি। কিন্তু আজকে যে ঘটনা ঘটল তা অনভিপ্রেত। আশা করব, আগামীতে যেন এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা আর না ঘটে।”
এ সময় তিনি ভেদাভেদ ভুলে নেতাকর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম চাইনিজ বলেন, “মঞ্চে বক্তব্য চলার একপর্যায়ে প্রটোকল ভেঙে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিতর্কিত এক নেতাকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম টিপু। এ নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়।”
অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম টিপু বলেন, “প্রটোকল একটু এদিক-ওদিক হলেও সমাবেশে শিবগঞ্জ এলাকার নেতা-কর্মীদের উত্তেজনা কমাতে তাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে বলেছিলাম।”
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত।